শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো

আপডেট : ২২ মে ২০২২, ১৯:২৯

বিএনপি সরকারের আমলে সিলেটের ওসমানীনগর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সংযোগ সড়ক কালনি নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই হেলে পড়ে ব্রিজটি। দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় থাকার পর বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে জরাজীর্ণ ওই ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দুই উপজেলার বাসিন্দারা।

ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কালনিচর-ইসলামপুর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে ইসলামপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান দিয়েই প্রবাহিত কালনি নদী। দুই উপজেলার সীমানা  কালনি নদী ভাগ করে দিয়েছে। দুই উপজেলার মধ্যবর্তী কালনি নদীতে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে প্রয়োজনের তুলনায় ছোট ও ক্রুটিপূর্ণ একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় ব্রিজটি এক পাশে হেলে পড়ে। এখন  ব্রিজের দুই দিকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।

দক্ষিণ কালনিচর গ্রামের  আনছার আহমদ সিদ্দিকী, মাধবপুর গ্রামের মাস্টার আব্দুস ছত্তার, দক্ষিণ কালনিচর গ্রামের মাহবুবুল আলম, ইসলামপুরের মুক্তার মিয়া গালিমপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম জানান, ওসমানীনগরের দক্ষিণ কালনিচর, ইসলামপুর, সুরিকোনা, লামাতাজপুর, তাজপুর, নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, আটঘর, নোয়াগাওসহ পার্শ্ববর্তী প্রায় ১৫ গ্রামের লাখো বাসিন্দা স্বাধীনতার পর থেকে দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও কালনি নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় অবহেলিত এই এলাকার উন্নয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কেউ দায় নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন কারার পরও  কোনো কাজ হয়নি।

ওসমানীনগর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দক্ষিণ কালনিচর-ইসলামপুর এলাকার দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণসহ কালনি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ব্রিজটি দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/ইউবি