কৃষকের বাধার মুখে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কদমতলী এলাকায় কর্নফুলি নদী খনন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। নদী খননকৃত বালি কৃষি জমিতে ফেলার প্রক্রিয়ায় আপত্তি করায় আজ (২৩ মে) দুপুর ১ টার দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
কৃষকের অভিযোগ বালি ফেলা হলে তাদের ধানি জমি নষ্ট হয়ে যাবে। আবাদে অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ নিয়ে এলাকায় কৃষকের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোডের্র তত্বাবধানে সম্প্রতি কর্নফুলি নদী খনন পরিকল্পনায় এখানে ওয়েষ্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের ২‘শ মিটার নদী খননের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাঠ কর্মকর্তা প্রকৌশলী শোভন আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদনে কৃষি জমিতে নদী খননের বালি ফেলার প্রক্রিয়া চলছিল।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শামশুল আরেফিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার কর্নফুলি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার কদমতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহনকৃত জমিতেই কর্নফুলি নদী খননের পলি ও বালি ফেলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মাষ্টার মধুসুধন ঘোষ অভিযোগ করেন, কর্নফুলি সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্পিং প্ল্যান্টের নিকটে ৮ একর জমি স্থানীয় কৃষকের মালিকানার। গুমাই বিলের অর্ধশতাধিক কৃষক ওই জমিতে বীজতলা এবং ধান চাষাবাদ করে জীবিকার ফসল উৎপাদন করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যায়ভাবে তাদের জমিতে বালি ভরাট প্রক্রিয়ায় কৃষকেরা নিঃস্ব হয়ে পড়বে।