চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে অ্যামেরিকা তাতে হস্তক্ষেপ করবে এবং লড়াইয়ে সামিল হবে। সোমবার (২৩ মে) টোকিও কয়াড সম্মেলনের আগে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ান চায়না পলিসিতে চলে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বিশ্বাস করে, তাইওয়ানের সায়ত্ত শাসনের অধিকার আছে। বস্তুত, তাইওয়ানের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে এবিষয়ে চুক্তিও করে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার টোকিও-তে সাংবাদিকদের মুখোমুকি হয়েছিলেন জো বাইডেন। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে। বাইডেন জানান, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে। যুদ্ধে অংশ নিয়ে তাইওয়ানকে সাহায্য করবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ।
বাইডেনের এই বক্তব্য কূটনৈতিক মহলে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে সত্যিই কী সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেওয়ার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তাইওয়ানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। চুক্তিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান যাতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, তার জন্য সবরকম সহায়তা দেবে তারা। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধের কথা কোথাও বলা নেই।
বাইডেন অবশ্য জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর তার আশঙ্কা আরও বেড়েছে। ইউক্রেনকে সাহায্য করা হচ্ছে, তাইওয়ানকেও সাহায্য করা হবে। চারদিনের এশিয়া সফরে গেছেন বাইডেন। দুইদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় থেকে সোমবার বিকেলে তিনি টোকিও পৌঁছেছেন। সেখানে কোয়াডের বৈঠক করবেন তিনি।
চীনের প্রতিক্রিয়া
বাইডেনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। তারা জানিয়েছে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই। তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্যা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র তা নিয়ে মন্তব্য করে ভুল বার্তা দিচ্ছে। তারা যুদ্ধে নামলে চীনও যে ছেড়ে কথা বলবে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, তাইওয়ানের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে চীনের। তাইওয়ানের একাধিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে শি জিনপিংয়ের সরকার। সেখানকার আকাশে একাধিকবার চীনের যুদ্ধবিমানের মহড়া দেখা গেছে। সব মিলিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চীন-তাইওয়ান সম্পর্কও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।