দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। দু’দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ প্রাকার ভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। একই মরিচ এখন প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দের।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে ফুলবাড়ী পৌর বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা নারায়ণ শর্মা বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবে এর মধ্যে একটু আশার আলো দেখা দিয়েছে কাঁচামরিচের দামে। গত দু’দিন আগেও যে কাঁচা মরিচ ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, সেই মরিচ আজ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এতে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে।’
হোটেল দুলাল চন্দ্র সাহা বলেন, তার দীপা নামের হোটেলে প্রতিদিন প্রায় ৫ কেজির মতো কাঁচা মরিচ কিনতে হয়। কিন্তু দাম বাড়ায় চাহিদা মেটাতে সমস্যা হচ্ছিল। দাম কমে যাওয়ায় আমাদের কিনতে যেমন সুবিধা হচ্ছে, তেমনি চাহিদামত কিনতে পারছি।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা শ্যামল চন্দ্র বলেন, দেশিয় কাঁচা মরিচের দাম কমছে। এ কারণে পড়তা না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। নওগাঁ ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ দিয়েই কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের চাহিদা মিটছে। গত কয়েকদিন ধরে বিরূপ আবহাওয়ায় কখনও ঝড় কখনও বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া কিছুটা ভালো হওয়ায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলে বিক্রি করছেন। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাত ইউনিয়নে ১১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে। প্রথম দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের আবাদ ও ফলন ভালো হয়েছে। এতে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।