শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চাল-আটাকে ছাড়ালো ভুসির দাম

আপডেট : ২৫ মে ২০২২, ১৪:২০

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চাল ও আটাকে ছাড়িয়ে গেছে ভুসির দাম। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি বস্তা ভুসির মূল্য ১০০ থেকে ১১০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বর্তমান উপজেলা পৌর শহরের বাজারে প্রতি কেজি ভুসি ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ চিকন চাল প্রতিকেজি ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা এবং প্রতি কেজি আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।  

পৌর শহরের ফিড ব্যবসায়ী হিমেল মণ্ডল বলেন, ভুসিসহ সব ধরনের গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। ব্র্যান্ড ভেদে প্রতি কেজি ভুসি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।  

চাল ব্যবসায়ী সমির চন্দ্র ও রতন চক্রবর্তী বলেন, প্রতিকেজি চিকন চাল প্রকার ভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা এবং মোটা চাল ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

মুদি দোকানী আহম্মেদ আলী বলেন, বর্তমানে প্যাকেটের আটা প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।  

বুধবার (২৫ মে) সকালে ফুলবাড়ী পৌর শহরের চমক ফিড, মণ্ডল ফিডসহ বেশ কয়েকটি পশুখাদ্যের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা নেই।  

মণ্ডল ফিডের স্বত্বাধিকারী হিমেল মণ্ডল বলেন, এখন বেচাকেনা কমে গেছে। ভুসি ও ফিডের দাম বেশি। কিন্তু দুধের দাম কম। এ কারণে খামারিরা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম গোখাদ্য কিনছেন। কয়দিন থেকে সারাদিনে দু-তিন হাজার টাকার মালামাল বিক্রি করা যাচ্ছে। অথচ আগে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকারও বেশি বেচাকেনা হতো দোকানে।    

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম জাকারিয়া বলেন, গো-খাদ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে গরু পালন করা সবার পক্ষে সম্ভব হবে না। তার চারটি গাভি আছে। প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার খাদ্য খাওয়াতে হয়। সঙ্গে অন্যান্য খরচও রয়েছে। বর্তমানে চার গাভির দুধ হয় ৩৫ থেকে ৩৭ লিটার। প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। ভারতে গম রপ্তানি বন্ধ করার খবরে ভুসির দাম বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। 

গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার খামারিদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী শাখা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক এসএম নূরুজ্জামান জামান বলেন, সরকারের দুর্বল বাজার তদারকি এবং আইনের প্রয়োগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অধিক মুনাফা আদায় করছেন। তিনি বাজার তদারকি জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাণিখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঘাস চাষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে দুইটি করে প্রদর্শনী প্লট তৈরি করা হবে। দুইজন খামারিকে বীজ এবং চারজনকে ঘাস সংরক্ষণের প্রযুক্তি দেওয়া হবে। 

 

 

ইত্তেফাক/এআই