বাগমারায় ধানকাটা ও আম নামানো শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকা ঘুরে ও ভুক্তভোগি কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাগমারায় এখন পুরোদমে ধানকাটা ও মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে। ফলে বেড়েছে শ্রমিকের চাহিদা। এছাড়া আগাম বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে কৃষকরা তাদের অবশিষ্ট ধানগুলো দ্রুত ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে কৃষি শ্রমিকের চাহিদা এখানে রাতারাতি বেড়ে গেছে। বছরের অন্যান্য সময়ে একজন কৃষি শ্রমিকের জন্য যেখানে কৃষককে ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হত। এখন সেই একই শ্রমিক নিতে তাদেরকে দুইশো থেকে আড়াইশো টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
অনেক কৃষি শ্রমিক এখন টাকার পরিবর্তে ধান নেওয়ার চুক্তিতে কৃষকের ধান কাটা শুরু করেছে। এতে শ্রমিক প্রতি খরচ আরো বেড়ে গেছে বলে জানান বোরো চাষীরা। প্রতি এক মণ ধানে শ্রমিকরা ৫ থেকে ৭ কেজি হারে আদায় করছেন। বর্তমানে ধানের বাজার দর অনুপাতে এতে একজন শ্রমিক বাবাদ ৭০০ টাকার ওপরে পড়ে যাচ্ছে বলে জানান মাড়িয়ার বোরো চাষী লুৎফর রহমান।
একই ভাবে কৃষি শ্রমিকের পাশাপাশি এই উপজেলায় এখন আম নামানো শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এলাকার অনেক বাগান মালিক আম নামানো শ্রমিক না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
হামিরকুৎসার আম বাগাম মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তার বেশ কিছু আঠির আম এখন পরিপক্ক হয়েছে। সেগুলো নামানো জরুরি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আম নামানো শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জনপ্রতি শ্রমিককে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দিয়ে তাদেরকে গাছে উঠানো যাচ্ছে না। তারা বিড়ম্বনায় পড়ছেন এভাবে শ্রমিক সংকট চলতে থাকলে আমগুলো হয়ত গাছে পেকেই নষ্ট হয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগাম বন্যা চলে আসায় ধান কাটতে সকল কৃষক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই সাময়িক শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া আম নামানোর জন্য গাছে উঠতে জানা বিশেষ শ্রমিক প্রয়োজন। তাই এই সেক্টরেও শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।