শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভালো ফলনে খুশি সিরাজগঞ্জের পাট চাষিরা 

আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১৩:৫০

সিরাজগঞ্জে এবছর পাটের বাম্পার ফলনে খুশি সিরাজগঞ্জের পাট চাষিরা। 

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর ১৬,৯৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর জেলায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। এখন পাট পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা আগেই বন্যা হওয়ায় পাট জাগ দেয়া নিয়ে কৃষকদের দুঃশ্চিন্তা নেই। বন্যার পানিতে পাট জাগ দিলে এর মান ভালো হয় এবং দাম ভালো পাওয়া যায় বলে চাষীরা জানান। 

জেলায় তোশা, মেছতা ও দেশী জাতের পাট চাষ হয়েছে। পাটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এছাড়া পাটকাঠির দামও বেশ ভালো বলে জানা গেছে। অথচ এক সময় পাটের দাম না পেয়ে কৃষকরা পাট চাষ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল।  

পাট চাষিরা বলেন, ধার-দেনা করে চাষ করা হয়। এবারে ভাল ফলনে খুশি কৃষকরা।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি গ্রামের পাটচাষি হাসান আলী জানান, ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এবার পাট ভালো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন এবছর পাটে মোটামুটি ভাল ফলন হবে। 

রতন কান্দি গ্রামের কৃষক আবিদ আলী বলেন, এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে জমিতে যে পরিমাণ পাট হয়েছে আশা করি ফলনও ভালো হবে। এলাকায় কৃষকেরা আরও জানায় একবিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় ১৪-১৫হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হয় ১২-১৪ মণ। খরচ খরচাবাদে ভালো টাকাই লাভ থাকে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী জানান, সদর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।   

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, গতবারের তুলনায় এবার পাট চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ছিল ৫৯৫ হেক্টর জমিতে এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। আমরা চাষিদের সব ধরনের কারিগরি পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষিকর্মকর্তা শমিনুর ইসলাম জানান, এবছর জেলায় ১৬,৯৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাটের চাষ অনেকটাই বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর জেলায় পাটের ভালো ফলন আশা করছি। 

 

 

ইত্তেফাক/এআই