শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে নন্দীগ্রামের খামারিরা 

আপডেট : ২৯ মে ২০২২, ১৬:০০

গো-খাদ্যের ক্রমবর্ধমান দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষক ও খামারিরা। গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দুধ উৎপাদন এবং পশু মোটাতাজাকরণে ব্যয় বেড়েছে খামারিদের। এতে গবাদি পশু পালনে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্তমানে মানুষের খাওয়ার চালের চেয়েও গো-খাদ্য গমের ভুসির দাম বেশি। বাজারে ১ কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কিন্তু ১ কেজি গো-খাদ্য গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া, খৈল ও খুদের দামও রয়েছে বৃদ্ধির তালিকায়।

সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতি কেজি গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, চালের খুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা ও খৈল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ ১ কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

উপজেলার কৈডালা গ্রামের গো-খামারি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি ছোট বড় মোট ১৮টি গরু পালন করছি। যেভাবে খৈল, ভুসি ও খুদসহ গরুর সব খাবারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন গরু লালন পালন করে লাভ করা খুব কঠিন।’

উপজেলার সিধইল গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ৪টি গাভীসহ ৯টি গরু ছিল। খড়, খৈল, ভুসি ও খুদের যে দাম, তাতে ৫০ টাকায় দুধ বিক্রি করে পোশায় না। এজন্য ৬টি গরু বিক্রি করে এখন ৩টি গরু পালছি।’

নন্দীগ্রাম বাজারের গো-খাদ্য বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের তো কিছু করার নেই। বেশি দামে কিনে আনতে হয়। তাই বেশি দামে বেচতে হয়। আগের চেয়ে বেচাবিক্রি অনেক কমে গেছে। মানুষ এখন অল্প অল্প করে খাদ্য কিনে।’

উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষক ও খামারিদের সব ধরনের সেবা ও পরামর্শ আমরা দিচ্ছি। পশু-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।’

ইত্তেফাক/এএইচ