২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বেসিসের প্রস্তাবের আশানুরূপ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। শনিবার (১১ জুন) বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসিস নেতৃবৃন্দ এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিশেষত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, টোনার ইত্যাদির ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে এই খাতের ব্যবসায়ী এবং ভোক্তা উভয়েরই ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
বক্তারা আরও বলেন, স্থানীয় সফটওয়্যার ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবায় থাকা পাঁচ শতাংশ উৎসে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার, সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যারের জন্য নতুন এইচএস কোডের মাধ্যমে শুল্কহার নির্ধারণ, ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি, মন্ত্রণালয় ও তাদের অধিভুক্ত সংস্থাগুলোর বাজেটের ১০ শতাংশ সফটওয়্যার এবং আইটিইএস খাতের জন্য বরাদ্দসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের ২ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে ৩০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল বেসিস। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বেসিসের সহসভাপতি আবু দাউদ খান বলেন, ‘বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য বরাদ্দ গত বছরের চেয়ে প্রায় ২৭৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই অর্থ কোন কোন প্রকল্প বা খাতে ব্যয় হবে এবং তার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প এবং এই খাতের ব্যবসায়ীরা কীভাবে উপকৃত হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, বরাদ্দ হওয়া টাকা সঠিক খাতে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, বেসিস সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ ও বেসিস পরিচালক এ কে এম আহমদেুল ইসলাম বাবু।