কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটে ক্রয়কৃত বোরখা বদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রলীগ কর্মীর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জমায়েত হয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
ব্যবসায়ীরা জানায়, কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটে রবিবার বিকেলে মা মনি বোরকা হাউজে ছাত্রলীগকর্মী পরিচয় দেওয়া রাব্বি নামের এক যুবক ক্রয়কৃত বোরখা পরিবর্তন করতে দোকানে আসেন। ওই দোকানে তার পছন্দমত বোরকা না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে দোকানের মালিক না থাকায় কর্মচারীরা ঐ যুবককে পরে আসতে বললে দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে ওই দিন রাতে মা মনি বোরকা হাউজের মালিক ডলারের বৈশ্যপাড়ার বাড়িতে হামলা চালায় রাব্বিসহ তার সহযোগীরা।
তারা আরো জানায়, পরবর্তীতে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা সমাধানের জন্য ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগকর্মীরা বাজারে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও আলোচনায় না এসে আবারো ছাত্রলীগকর্মীরা হামলার ঘটনা ঘটায়। এতে পাশের জননীর ক্লথ স্টোরের মালিক হাফিজুর রহমান আহত হয়।
এ ঘটনার পর মার্কেটের সকল কাপড়ের দোকান বন্ধ করে একত্রিত হয়ে ছাত্রলীগকর্মী রাব্বিসহ জড়িতদের বিচারের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
কুড়িগ্রাম বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রওশন আমিন আজাদ রিন্টু জানান, এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে জেলার সকল ব্যবসায়ীদের নিয়ে অবিরাম ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার কাছ থেকে সারা পাননি ইত্তেফাকের এ প্রতিনিধি।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এটি একটি ব্যক্তিগত ঘটনা। এজন্য ছাত্রলীগ কোনভাবেই দায়ী নয়।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘এ ঘটনা জানার পর আমি নিজেই সেখানে গিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমি ব্যবসায়ীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’