শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সাতক্ষীরা থেকে প্রতিদিন ২১ টন আম যাচ্ছে সারাদেশে

আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১৩:৩০

সাতক্ষীরার থেকে বিভিন্ন জাতের আম যাচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। প্রতিদিন জেলার সুলতানপুর বড় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে প্রায় ২১ থেকে ২২ টন হিমসাগর, ল্যাংড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম। ফল ব্যবসায়ীরাও পার করছেন ব্যস্ত সময়। তবে ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, ফলন কম হওয়ায় এ বছর আমের দাম বেশি।

চাষিরা জানিয়েছেন, দাম বেশি হলেও ফলন কম হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। আমের দাম ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পেলেও আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা শ্রেণিভেদে আম বিক্রি করছেন ২৪ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায়।

কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, ‘তিনি দেড় বিঘা জমিতে আম বাগান করেছেন। এখন পরিপক্ব হিমসাগর আম ভেঙে বাজারে বিক্রি করছেন প্রতিদিন। বাগানে হিমসাগর, ল্যাংড়া, কাঁচামিঠে ও গোবিন্দাভোগ জাতের আম রয়েছে। এখন হিমসাগর আম ভেঙে বিক্রি করছি। দাম পাচ্ছি ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ। ফলন কম হওয়ায় এবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।’

আড়তদার ব্যবসায়ী মেসার্স ফাহিম সবজি ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক জানান, সাতক্ষীরার আমের আলাদা সুনাম রয়েছে। বর্তমানে এখানকার আম বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমেও আমি আম পাঠানো হচ্ছে। হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা মণ। আর ল্যাংড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা মণ। ভালো ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে। তবে হিমসগার আমের চাহিদা বেশি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমের আকার ও শ্রেণিভেদে হিমসগার বড় সাইজের পাকা আম ২৪০০ থেকে ৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা সদরে ছয়টি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে।

এসব কুরিয়ার সার্ভিসের সাতক্ষীরা কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দৈনিক সাতক্ষীরা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আম যাচ্ছে ১৮ হাজার ১০০ কেজি অর্থাৎ ১৮ দশমিক ১ টন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও ৩ থেকে ৪ টন আম যাচ্ছে প্রতিদিন।

সাতক্ষীরা বড় বাজার কাঁচামাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম জানান, বড় বাজার থেকে ট্রাকে করে দৈনিক তিন টন আম যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। দেশের বিভিন্ন জেলার আম বাজারে আসায় বর্তমানে সাতক্ষীরার আমের চাহিদা একটু কমে গেছে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়াসহ দেশীয় প্রজাতির আমগুলো এখন পরিপক্ব হয়ে বাজারে উঠছে। ব্যবসায়ীরা যেন আমে কোনো ধরনের ফরমালিন ব্যবহার না করে, সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে এ বছর গাছে আমের ফলন অর্ধেকেরও কম। তাই দামটাও গত বছরের তুলনায় একটু বেশি।

ইত্তেফাক/এমআর