শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গাইবান্ধায় আরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ঝুঁকিতে শহররক্ষা বাঁধ 

আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ২৩:০৬

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলাগুলোর নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে পানির চাপে গাইবান্ধা শহররক্ষা বাঁধ ও ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ জুন) বিকেল তিনটা থেকে রবিবার (১৯ জুন) বিকেল তিনটা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ফলে এ নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

সূত্রটি আরও জানায় ঘাঘটের পানির চাপে গাইবান্ধা শহররক্ষা বাঁধ ডেভিড কোম্পানীপাড়া ও কুঠিপাড়া এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে কেতকিরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির দুইপাশ বৃষ্টির পানিতে ধ্বসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানির চাপে যে কোন সময় বাঁধটি ধসে যেতে পারে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, রবিবার ও আগামীকাল সোমবার আরও দুইদিন গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বাড়বে। তারপর থেকে পানি কমতে পারে। তবে বাঁধ ভেঙ্গে না গেলে আপাতত গাইবান্ধায় বড় বন্যা হবার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

 

 

 

 

ইত্তেফাক/ ইআ