গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২০ জুন) ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৪ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পাউবো।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ৫৯টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৬১৮ জন মানুষ।
পানিবন্দি হওয়ায় ওইসব এলাকার লোকজনকে এখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই চারটি উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও আপাতত গাইবান্ধায় বড় বন্যা হবার সম্ভাবনা নেই।