বাংলাদেশের মতো সীমিত ভূমি, অপ্রতুল প্রাকৃতিক সম্পদ ও বিশাল জনসংখ্যার দেশকে টিকে থাকতে হলে বাইরের দুনিয়ার সহযোগিতা ছাড়া বিকল্প নেই। এই সত্যটি বঙ্গবন্ধুর অজানা ছিল না। তিনি এও জানতেন, বাইরের দুনিয়ায় বাংলাদেশের উন্নত ও মর্যাদাশীল ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে না পারলে বাংলাদেশ বিশ্বসমাজ থেকে তার ন্যায্য হিস্যা ও যথায়থ আচরণ পাবে না। এই জন্য নির্মাণপর্বেই তিনি সর্বোচ্চ সংখ্যাক দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করে বাংলাদেশকে সবার কাছে তুলে ধরেছেন। ‘ঠাণ্ড যুদ্ধের’ আমলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি তিনি করেছিলেন তা হচ্ছে বাংলাদেশকে কোনো পক্ষের অন্তর্ভুক্ত করেননি। এই কাজটি সেই আমলে অনেক ক্ষমতাধর দেশও করতে পারেনি। জোটনিরপেক্ষতা বজায় রেখে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ কারও ধামাধরা হবার জন্য স্বাধীন হয়নি।
নিজের শাসনামলের মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে বঙ্গবন্ধু ১১৬টি দেশের স্বীকৃতি এবং জাতিসংঘসহ ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ অর্জন করিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে নিজের পায়ে দাঁড় হওয়ার ভিত্তিটুকু তৈরি করে দিয়ে গেছেন। একজন পিতা তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য যেভাবে ভিত্তি গেঁথে দেন, বঙ্গবন্ধু তার স্বল্পকালীন শাসনামলে বাংলাদেশের জন্য তাই করে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতের বাংলাদেশে শক্তিশালী, মানবিক ও সুশিক্ষায় শিক্ষিক নতুনপ্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য একের পর এক নীতিমালা প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু।
কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি এবং দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রথমেই শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যয়োন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। একই সঙ্গে নারীমুক্তি এবং শিশুদের সঠিক বিকাশের জন্যেও প্রণয়ন করেছেন আইন। স্বাধীনতার সুফল যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করতে পারে, সবাই যেনো শত শত বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খলের মানসিকতা থেকে মুক্তি পায়। স্বাধীন দেশের স্বাধীন পরিবেশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে নতুন প্রজন্মের, সেজন্য যা যা করা দরকার সেইসব উদ্যোগই নিয়েছেন জাপিত পিতা। এজন্যই কবির কবিতায় ধ্বনিত হয়েছে: 'মুজিব মানে আর কিছু নয়, মুজিব মানে মুক্তি/ পিতার সাথে সন্তানের না লেখা প্রেম চুক্তি।'
নতুন দেশ পুনর্গঠনের অশেষ প্রতিবন্ধকতা
১২ জানুয়ারি ১৯৭২ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মন্ত্রিপরিষদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন, তার মাত্র ২৬ দিন আগে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম। তারও ৯ মাস আগে শুরু হওয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা এবং গণহত্যার প্রতিরোধে বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধ-এক কোটি মানুষের শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া, দেশের ভেতরে আরও দুই কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতি, ৩০ লাখ মানুষের খুন, কমপক্ষে দুই লাখ নারীর ধর্ষণ, রাস্তাঘাট-ব্রিজ কালভার্ট-বাড়িঘরসহ সকল স্থাপনা ধ্বংসের ক্ষত তখন নতুন রাষ্ট্রের পরতে পরতে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে চরম অর্থঘাটতি নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। একটু পেছনে ফিরলে দেখা যায়, ১৯৬৮ সালের বন্যার ফলে ১৯৬৯ সাল এবং ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে কৃষিতে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়। অথচ কৃষির ওপরেই এ দেশের মানুষের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। আবার ১৯৭০ সালের নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় শুধু ২ লাখ প্রাণ ছিনিয়েই নেয়নি, ১১০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ এবং অসংখ্য গবাদিপশু এতে বিনষ্ট হয়। এরপর আসে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাত থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পোড়ামাটি নীতি। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর দেশীয় দালালদের হাতে নিহত হন ৩০ লাখ মানুষ, যাদের মধ্যে ছিলেন সক্ষম পুরুষ, কিশোর কিশোরী, শিশু ও নারী। এক কোটি মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ভারতে শরণার্থী হন, দেশের ভেতরে স্থানান্তরিত হন আরও প্রায় দুই কোটি। কেবল পাকিস্তানিদের হাতে নয়, শরণার্থী ও বাস্তুহারা হবার পথে ক্ষুধা, দারিদ্র ও রোগে ভুগে মারা যান আরও বিপুলসংখ্যক মানুষ। শরণার্থী শিবিরগুলোতে ডায়রিয়া মহামারি হয়ে মারা যান কয়েক লাখ।
পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসরদের পাশবিকতার চরম শিকার হন নারীরা, শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত। যত ধরনের বর্বর পদ্ধতি সম্ভব তারা প্রয়োগ করেছিল বাঙালি নারীদের ধর্ষণে। প্রচলিতভাবে দুই লাখ নারীর কথা বলা হলেও বিশিষ্ট গবেষক এম এ হাসান তার গবেষণায় ধর্ষণের শিকার নারীর সংখ্যা খুঁজে পেয়েছেন সাড়ে চার লাখ পর্যন্ত। হত্যা ও ধর্ষণ ছাড়াও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও সর্বস্বান্ত হন বাংলাদেশের মানুষ।
পাকিস্তানিরা হাজার হাজার বাড়ি, গ্রামের পর গ্রাম, বাজার দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়। পাকিস্তানিদের শোষণে সম্পদহীন হয়ে পড়া স্বাধীন বাংলাদেশে শুরুতেই অভাব হয় দক্ষ জনসম্পদের, ব্যাংকের রিজার্ভ তখন শুন্য, রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কার্লভার্ট ধ্বংসে পরিণত; চারপাশে নির্যাতিত নারীদের আর্তনাদ, এ যেনো মহাপ্রলয়ের পরে মহাধ্বংসস্তূপ। সার্বিকভাবে হাতে কোনো সম্পদ নেই, অর্থ নেই, কিছুই নেই। শুধু একবুক আশা আর দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে রিক্ত হস্তে এই ধ্বংসস্তূপকেই যত দ্রুত সম্ভব মানুষের বসবাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব নিয়ে নিরলস কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু।
পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথেও অজস্র প্রতিবন্ধকতা
স্বাধীনতা অর্জনের পর শুরুতেই আওয়ামী লীগ সরকারকে দুটি বিরাট রকমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। একটি হলো পুনর্বাসন ও পুনঃস্থাপন এবং অপরটি হলো পুনর্নির্মাণ ও উন্নয়ন। পুনর্বাসনের সুবিশাল দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল যুদ্ধের সময়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় এক কোটি লোকের পুনর্বাসন এবং ৪৩ লাখ বাসগৃহ নির্মাণ। এসব বাসগৃহ যুদ্ধকালে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বা বিধ্বস্ত করা হয়। এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে গৃহহীন দুস্থ মানুষদের পুনর্বাসন, তাদের জমি, খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করাও ছিল সরকারের একটি গুরুদায়িত্ব। প্রধানত প্রশাসনিক নির্দেশে এবং নিম্নতম পর্যায় পর্যন্ত রাজনৈতিক সংগঠন সৃষ্টি করে এই সমস্যা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে প্রশাসনের নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দেশপ্রেমিক কর্মকর্ম কর্মচারীদের অনেকেই পাকিস্তানিদের দ্বারা নিহত হয়েছিলেন, এ ছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটা বড় অংশ তখনো পাকিস্তানে বন্দী। এদিকে স্থানীয় সরকারের কেউ কেউ (যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য) ছিল শান্তি কমিটির সদস্য। সংগত কারণেই পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তাদের জড়িত করা সরকারের জন্য সম্ভব ছিল না। এ রকম পরিস্থিতিতে সরকার ত্রাণ কমিটি নামে নতুন একধরনের প্রতিষ্ঠানের গোড়াপত্তন ঘটায় । ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সংগঠিত ও পরিচালনার লক্ষ্যে তৎকালীন ত্রাণবিষয়ক মন্ত্রী কামারুজ্জামান ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি গ্রাম থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণ কমিটি গঠনের রূপরেখা প্রণয়ন করেন।
কৃষক-শ্রমিকদের বাঁচানোর মাধ্যমে বিধ্বস্ত দেশকে বাঁচানোর উদ্যোগ
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শতকরা ৬৫ ভাগ এককভাবে কৃষি খাত থেকে আসত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এক কোটি মানুষের ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ এবং প্রাণ বাঁচাতে দেশের ভেতর আরও ২ কোটি মানুষের স্থানচ্যুতির পরিণাম হিসেবে কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষি খাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তার পরিমাণ প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩৭৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে বস্তুগত যে ক্ষতি হয় তার পরিমাণ ৮৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রচেষ্টা হিসেবে এ ক্ষেত্রে সরকার কৃষিজাত দ্রব্যের উৎপাদনের পরিমাণ ১৯৭১ সালের মার্চ-পূর্ব পর্যায়ে উন্নীত করার এবং চাষাবাদের ক্ষেত্রে নতুন যান্ত্রিক পদ্ধতি প্রবর্তনের লক্ষ্য স্থির করে।
কীটপতঙ্গ নিরোধক ওষুধপত্র এবং অধিকতর পরিমাণে সার ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সরকার দেশের ভেতরে ইউরিয়া সার, টিএসপি ও পটাশ সার উৎপাদনের ওপর জোর দেয়। কীটনাশক ওষুধ ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থাও গৃহীত হয়। এই কর্মসূচির অধীনে সরকার ইরি-২০ জাতীয় ধানের ছয় লাখ মণ বীজ এবং ইরি-৮ জাতীয় ধানের দুই লাখ মণ বীজ সরবরাহের উদ্যোগও নেয়। এ ছাড়া শীতকালীন শস্য উৎপাদনের সুবিধার্থে পরিকল্পনা কমিশনের সাথে আলোচনাক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয় লো-লিফট পাম্প এবং গভীর নলকূপ ব্যবস্থার উন্নতি বিধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩ নং অনুচ্ছেদে উৎপাদন যন্ত্র, উৎপাদনব্যবস্থা ও বণ্টন প্রণালিসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হিসেবে সমবায়কে দ্বিতীয় স্থানে নির্ধারণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়কে সম্পূর্ণ গণমুখী ও গণতান্ত্রিককরণ এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এর নীতিকে সমাজতান্ত্রিক ও আন্তর্জাতিককরণের নির্দেশ দেন। ১৯৭২ সালে সমবায় বিভাগের আওতাধীন প্রচলিত সমবায় মিতির বাইরে। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প'র আওতায় দুই স্তর বিশিষ্ট সমবায়ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্প দেশে প্রথমবারের মতো গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালু করে ।
৩০ জুন ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, 'আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে-এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা, সমবায়ের পথ হচ্ছে সমাজতন্ত্রের পথ, গণতন্ত্রের পথ। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের সমবায় ইউনিয়ন মিল্ক ভিটা' প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আজও দেশের ৭০% তরল দুধের জোগান দিয়ে থাকে।
১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি গ্রামে বাধ্যতামূলক বহুমুখী সমবায় চালু করার ঘোষণা দেন। দেশে বহুকাল ধরে সমবায়ের ব্যাপারে চলে আসা সরকারি-বেসরকারি নানা বিচ্ছিন্ন উদ্যোগের বিপরীতে এই সমন্বিত ও সামগ্রিক সমবায়ের ঘোষণা ছিল বৈপ্লবিক। অচিরেই সমবায় আন্দোলনকে জোরালো ও গণমুখী করার লক্ষ্যে কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে সার সরবরাহ, সহজ শর্তে ঋণদান, মৎস্য সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক রহিতকরণ, মৎস্যজীবীদের জলমহাল ইজারা প্রদান, তাঁতিদের সুতা উৎপাদনে সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণ দান, তাঁত শিল্প সরঞ্জাম আমদানিতে আইন প্রণয়ন প্রভৃতি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
লেখক: কবি ও গণমাধ্যমকর্মী