দলের ব্যাটিং বিপর্যয় এড়াতে অফফর্মে থাকা মুমিনুল হককে বাদ দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য ঘুরে দাঁড়ানো। কিন্তু সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। পার্থক্য কেবল এতটুকু, আগে ১০০ রানের মধ্যেই ৪-৫টি উইকেটের পতন ঘটতো। এবার সেটা ১০০ রানের পর হয়েছে।
আজ প্রথম দিন টস জিতে আবারও বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু শুরুর ব্যাটিংটা বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। দলীয় ৪১ রানের সময় ফিলিপের বলে বোল্ড হয়ে আউট হন জয়। তার আগে ৩১ বল মোকাবিলায় ১০ রান করেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তামিম। এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। স্কোরবোর্ডে আর ২৭ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম। আলজারি জোসেপের বলে পয়েন্টে দাঁড়ানো ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৬৭ বলে ৪৬ রান করেন। অবশ্য এই উইকেটটি তিনি একরকম বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। মনোযোগ না হারালে হয়তো স্কোরটিকে আরও অনেক বড় করতে পারতেন।
তাদের দুজনের বিদায়ের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে প্রর্ত্যাবর্তন হয়েছে বিজয়ের। মুমিনুলের জায়গা সুযোগ পান তিনি। আশার আলোও দেখাতে শুরু করেন। মনে হচ্ছিল ব্যাট হাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ তিনি। কিন্তু তিনিও দারুণ একটি সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটালেন। দলীয় ১০৫ রানের সময় ফিলিপসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। তার আগে করেছেন ৩৩ বলে ২৩ রান। এর কিছুক্ষণ পর একই পথ ধরেন শান্ত। কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে করেন ৭৩ বলে ২৬ রান। আরও একবার সেট হয়েও ক্রিজে টিকে থাকতে ব্যর্থ হলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
সবাই মনে করেছিল এবার হাল ধরবেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ডেপুটি লিটন দাস। কিন্তু সাকিবের ব্যাট আজ কথা বলেনি। মাত্র ৮ রান করে সিলসের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এই রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান। লিটন দাস ১৭ ও নুরুল হাসান সোহান ৭ রানে অপরাজিত।