শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে

আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, ০৩:১৫

দিনাজপুরে মসলাজাতীয় অপরিহার্য পণ্য পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, বাজারে ততই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আর বাজার তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা একটু বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সরেজমিনে দিনাজপুর শহরের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রধান বাজার বাহাদুরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ভারত থেকে আমদানি কোনো পেঁয়াজ নেই। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে একই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা দরে, আর পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৩০ টাকা কেজি দরে। 

বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মাজেদুর রহমান জানান, বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। তাদের পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে নাটোর ও পাবনার মোকাম থেকে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও মোকামেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, পাবনাতেই প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে। এজন্যই পরিবহন খরচ ও সামান্য লাভ রেখে তাদের ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।

দিনাজপুরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানান, বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে, তাছাড়া এই সময়ে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদাও বেশি। এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে। 

তিনি বলেন, পাবনা ও নাটোরের পেঁয়াজচাষিরা সাধারণত কার্তিক মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ মজুত রাখে। দাম বাড়লেই তারা বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে শুরু করে। যেহেতু সামনে কোরবানি, সেহেতু তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া জুন ও জুলাই মাসে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছরই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।

ইত্তেফাক/এমএএম