ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত কিছু এলাকা পরিদর্শন শেষে শনিবার (২ জুলাই) রাতে গ্র্যান্ড সিলেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউএন রেসিডেন্ট কো অর্ডিনেটর জিন লুইস বলেন, ‘সিলেটে ১৯৯৮ সাল ও ২০০৪ সালের পর অর্থাৎ গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এখানে নারী ও শিশুরা রয়েছেন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। মে মাসের আকস্মিক বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি যখন এ বিভাগের মানুষ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছিল, তখন আবার বন্যা আঘাত করলো।’
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে এসেছে জাতিসংঘের জয়েন্ট মিশন। এ মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের (ইউএন) রেসিডেন্ট কো অর্ডিনেটর জিন লুইস। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শনিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। রবিবার তারা গোয়াইনঘাটের বন্যা উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানান।
আগামীতে আরো বন্যা হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে জিন লুইস বলেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় অনেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অবকাঠামোগত ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) ও কেয়ারের নেতৃত্বে নিডস অ্যাসেসম্যান্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (নেএডাব্লিওজি) কাজ শুরু করেছে। তারা সমন্বিত অ্যাসেসম্যান্টের মাধ্যমে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের পাশাপাশি এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে তাৎক্ষনিক ও মধ্যমেয়াদী প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৯টি জেলার প্রায় ৭২ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
লুয়িস বলেন, ‘৯ জেলার মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার অবস্থা সবচাইতে বেশী ভয়াবহ। প্রায় ৫ লাখ লোক আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছে, যারা অনেকে ঘর-বাড়ি হারিয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে নারী ও মেয়েরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।’