ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরেছেন কর্মজীবীরা। তবুও ঢাকার রাস্তা এখনো চিরচেনা রূপে ফেরেনি। চোখ যতদূর যায় ধু ধু ফাঁকা।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) শহরের শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট, মিরপুর রোড ঘুরে এমন অচেনা রাজধানী দেখা মেলে। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। এসব এলাকার প্রায় সব মোড়ই ফাঁকা ছিল।
জানা গেছে, সরকারি তিন দিনের ছুটি শেষ হলেও এখনো অনেকেই অফিসে যোগ দেননি। বাড়তি ছুটি নিয়ে পরিবারে সঙ্গে ঈদ করছেন। নগরী ব্যস্ত হচ্ছে আগামী রবিবার।
ঘুুরে দেখা যায়, প্রতিটি সড়কেই যাত্রীবাহী গণপরিবহনের সংখ্যা নিতান্তই কম। মাঝে মাঝে বাস দেখা যাচ্ছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে কিছু। গণপরিবহন দেখা গেলেও যাত্রী ছিল কম। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেককেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে।
তানজিল পরিবহনের যাত্রী তানিয়া বলেন, ‘অফিসের কাজে বাইরে বেরিয়েছি। এমন ঢাকাই ভালো। মিরপুর থেকে শাহবাগ আসছি মাত্র ২০ মিনিটে। ঈদ ছাড়া অন্যদিন হলে দেড় ঘণ্টায়ও পারতাম না।’
সিএনজিচালক তারা মিয়া বলেন, ‘রাস্তায় যদিও যাত্রী কম, কিন্তু যাতায়াতে ভালো সুবিধা। এখন সারাদিনে ভালো আয়-রোজগার হয়।’
বাসযাত্রী উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে ঢাকার বাইরে একটি বিনোদন কেন্দ্রে যাচ্ছি। রাস্তা ফাঁকা বেশি সময় লাগবো না। ভাড়া বেশি রাখছে না। বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিরাপদেই আছি।’
সাভার পরিবহনের ড্রাইভার দিপুর মুখে হাসি। ঢাকায় জ্যাম নেই। তিন দিন ধরে বাস চালিয়ে ভালো আয় করছেন। তিনি বলেন, ‘আজ ভোর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলাম। রাস্তায় কোনো জ্যাম নেই। যাত্রী কম থাকলেও খরচ বাদে আয়ও ভালো হচ্ছে।’
বাসচালক রফিক মিয়া বলেন, ‘শহরের সড়কগুলো এখনো ব্যস্ত হয়নি। তবে, গাজীপুরের দিক থেকে অনেক যাত্রী ঢুকছে ঢাকায়। কাল নাগাদ রাস্তায় যাত্রী বাড়বে। গুলিস্তানে রাজধানীর বাইরে থেকে অনেক পরিবহন আসছে।’