টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০০ সালেই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা (রিজিওনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি। পরে সেটি আড়ালে ঢাকা পড়েছিল। ২০১৩ সালে প্রথম বার বিসিবির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ঐ মেয়াদে আলোর মুখ দেখেনি সেই ঘোষণা। পরের মেয়াদেও একই আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
কাকতলীয়ভাবে দুই মেয়াদেই আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়নি। তবে সিলেটে পরীক্ষামূলক কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল বিসিবি। তৃতীয় মেয়াদে বিসিবির ক্ষমতায় আসার পর আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনে জোর দেন পাপন। এই কাঠামো রূপ দিতে গিয়ে গঠনতান্ত্রিকভাবে কিছু বাধার মুখে পড়েন তিনি।
গতকাল বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা চালু করতে গঠনতন্ত্রের কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এজিএমে কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে এসব সংশোধনী পাশ হয়েছে গতকাল। গঠনতন্ত্রের বাধামুক্ত হতেই ৯ বছর লেগে গেল। এখন কার্যকর হতে, সচল হতে আরো কত বছর লাগবে, বলা কঠিন। ক্রিকেটকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার এই প্রয়াস শিগ্গিরই কার্যকর হবে বলে আশা বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। আগামী বোর্ড সভার আগেই সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এমনটাই দেখতে চান তিনি।
গতকাল এজিএম শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘কনস্টিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্ট (গঠনতন্ত্র সংশোধন) ছিল, সেগুলো আমরা পেশ করেছিলাম। সবগুলোই সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের এজিএমে পাশ হয়েছে। কনস্টিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্টের মধ্যে একটা ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা, সেটা আজকে (গতকাল) হয়ে গেল। আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা করতে এখন আর বাধা রইল না।’সাতটি বিভাগ নিয়েই হবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। ঢাকার সঙ্গেই থাকবে ময়মনসিংহ বিভাগ। বড় বিভাগে ১৭ ও ছোট বিভাগে ১১ জনের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে এজিএমে। তবে কমিটিতে কারা থাকবেন, কাজ কীভাবে পরিচালনা হবে, এসব চূড়ান্ত হয়নি। বোর্ড সভাপতি বলেছেন, বিসিবি যত দ্রুত সম্ভব আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার পূর্ণাঙ্গ কাঠামো, রূপরেখা চূড়ান্ত করবে।
বিসিবির ওয়েলফেয়ার কমিটি
দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করেছে বিসিবি। নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি হিসেবে গতকাল বিসিবির এজিএমে কাউন্সিলরদের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ টাইগার্স ও ওয়েলফেয়ার কমিটি। পাপন বলেছেন, ‘আরো একটা এজেন্ডা ছিল, যেটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটা হচ্ছে, দুটি অতিরিক্ত কমিটি—একটা হচ্ছে বাংলাদেশ টাইগার্স, আরেকটা হচ্ছে ওয়েলফেয়ার কমিটি।’ বাংলাদেশ টাইগার্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন কাজী ইনাম আহমেদ। তবে ওয়েলফেয়ার কমিটির দায়িত্ব এখনো কোনো পরিচালককে দেওয়া হয়নি।