দাম কম হওয়ায় পটোল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। পটোল চাষ করে এখন উৎপাদন খরচই উঠছে না। ফলে জমির পটোল জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে। তার পরও কৃষক পটোল আনছেন হাটে। কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন বাড়ি।
ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর হাট ঘুরে দেখা দেছে, কৃষকরা পটোল নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু ক্রেতা পাচ্ছেন না।
মাড়িয়ার কৃষক লুত্ফর রহমান জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে পটোল চাষ করেছেন।
শুক্রবার ভবানীগঞ্জ হাটে পাঁচ মণ পটোল নিয়ে এসেছেন। শুরুতে সাড়ে ৩০০ টাকা মণ দরে দুই মণ বিক্রি করতে পারলেও এখন আর সে দামে কোনো ক্রেতাই পাচ্ছেন না।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পটোল চাষে তার ষোল আনাই লস।
হামিরকুত্সার কৃষক মুঞ্জুর রহমান জানান, তিনি শিকদারী হাটে তিন মণ পটোল বিক্রি করে শ্রমিক ও পরিবহন খরচের টাকাই তুলতে পারেননি। অবশেষে তিনি জমি থেকে পটোল উত্তোলন করা বাদ দিয়েছেন। তার পটোল এখন জমিতেই পেকে নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, বাগমারায় আড়াইশ হেক্টর জমিতে পটোলের আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও রোগবালাই না থাকায় এলাকায় এবার পটোলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে উপজেলার হাটবাজারে জেলার সবজি ব্যাপারীরা পুরোদমে আসা শুরু করলে পটোলের দর কিছুটা বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।