দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ বার লোডশেডিং হচ্ছে শহরে। আর গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরো বেশি। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতির মুখে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দিনের চেয়ে রাতে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় ভোগান্তি যেন কয়েক গুণ বেড়েছে।
নেসকো ফুলবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এখানে চাহিদা প্রতিদিন ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু তার চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ার কারণে লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলার শিবনগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিলান বলেন, বিদ্যালয় চলাকালে চার থেকে পাঁচ বার লোডশেডিংয়ের কারণে তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এতে করে ক্লাস নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সর্বোপরি বিদ্যুতের কারণে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ফুলবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী মো. উজ্জ্বল মিয়া বলেন, বর্তমানে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ পাওয়ার কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। দিন-রাতে চার বারে চার/পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানো হচ্ছে।