উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আমডাঙ্গা এলাকায় সোনাকান্ত বিলের এমন অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। স্থানীয়দের কাছে এটি 'সোনাকান্ত বিল' নামেই পরিচিত। গত ২ বছর ধরে বর্ষাকালে ফোটা এ বিলের গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে 'আমডাঙ্গার পদ্মবিল' নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মবিলের চারপাশে ফুল আর জলজ পাখিতে ভরে গেছে। যতদুর চোখ যায় শুধু গোলাপি রঙের আভা দিনের আলোয় এ রঙ যেন আরও ঝলমলে হয়ে ওঠে। পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এ বিলে আসছেন ও স্মৃতি ধরে রাখতে তুলছেন ছবি।
বিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান বিলে নৌকা ও যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় অনেক ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।
সরাতৈল গ্রামের বাবলা তালুকদার বলেন, বিলে ফুটে থাকা পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে অনেক ভালো লাগছে। এই বিলে প্রবেশের নৌকা ও রাস্তা থাকলে দর্শনার্থীরা পদ্ম ফুলের কাছে যেয়ে সৌন্দর্যকে আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারতো। পাশাপাশি স্থানীয়রা নৌকা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারতো। এখন দর্শনার্থীরা পায়ে হেঁটে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে আসছে এতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
এখানে ঘুরতে আসা তন্নী রহমান জানান, পদ্মফুল ফোটার সময়ে বিলটা সংরক্ষণ করা গেলে দর্শনার্থীরা আরও বেশি বেশি ফুলের ও জলজ পাখিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতেন। গত কয়েক বছর আগে বিলে পদ্ম ফুল ফোটার দৃশ্য দেখার পর থেকে তিনি প্রতিবছর বর্ষার সময় সোনাকান্ত বিলে আসার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, অনেকে ঘুরতে এসে পদ্মফুল ছিঁড়ে নষ্ট করছে আবার আনেকে নিয়েও যাচ্ছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। স্থানীয়রা বিলে ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদের ফুল না ছিঁড়তে অনুরোধ করছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াছমিন বলেন, বর্ষামৌসুমে বিভিন্ন বিলে পদ্ম ফুলের দেখা মিলে। পদ্ম ফুলের অনেক ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে, কৃষিজমিতে কীটনাশক ব্যবহার কমে যাওয়ায় বিলে শাপলা ও পদ্ম ফুলের দেখা মিলেছে। যার কারণে আবার নতুন করে আমাদের বিলুপ্তি প্রায় নানা প্রকার জলজ প্রাণী ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে।