সিলেটের ওসমানীনগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৯ বছরের এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। ঐ তরুণী গত শুক্রবার রাতে ওসমানীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার উমরপুর ইউপির সিকন্দরপুর মাইজগাঁওয়ের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (৩২), একই গ্রামের মৃত তছর মিয়া চৌধুরীর ছেলে সাইফুর রহমান চৌধুরী রানা ও উপজেলার পূর্ব ব্রাহ্মণ গ্রামের মো. আকলু হোসেন লুদু মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩৪)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার ঐ তরুণী এক বছর আগে নবীগঞ্জের আউশকান্দিতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গাড়িতে নবীগঞ্জের আউশকান্দি এলাকার রুবেল নামক এক জনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩ আগস্ট রুবেল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে ঐ তরুণীর মোবাইলে কল দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে তাকে ওসমানীনগর থানার সিকন্দরপুর গ্রামে যেতে বলে। তরুণী কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে সেদিন বেলা ৩টায় গোয়ালাবাজার পৌঁছান। সাড়ে ৩টার দিকে সিকন্দরপুর গ্রামে পৌঁছালে রুবেল তাকে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তোলে। সেখানেই বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই রানা ও করিম নামে দুই জনকে নিয়ে রুবেল তরুণীর হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। ঐ ঘরে আটকে রেখে পালাক্রমে রাতভর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চলে। ফজরের আজানের পর আসামিরা তার বাঁধন খুলে দেয়। এরপর তারা তিন জন তাদের বন্ধু জাহাঙ্গীর ও কামালকে ডেকে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে বলে। কামাল ও জাহাঙ্গীর তাকে মারধর করে কানের দুলসহ মোবাইল এবং নগদ ৫ হাজার টাকা লুট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে দুই পথচারী তাকে দেখে এবং বিস্তারিত শুনে থানায় নিয়ে যান।
ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযোগ পাবার পরপরই অভিযানে নামে এবং তিন জনকে গ্রেফতার করে। ঐ তরুণী বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।