বরিশালে প্রবল বৃষ্টিপাত ও অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নিম্নাচল প্লাবিত হয়ে ভাঙ্গন ও ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দেখা দিয়েছে। বরিশাল নগরীর নিম্নাচল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো পানিতে ডুবে গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র রবিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় জানায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কীর্তনখোলা নদী ছাড়াও বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর নদী, গৌরনদীর টরকী নদী, ভোলার তেতুলিয়া নদী, দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা নদী, ঝালকাঠির বিষখালি নদী, বামনা বিষখালি নদী, পাথরঘাটা বিষখালি নদীর পানি গত কয়েক দিন ধরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।
গত ১০ দিন ধরে নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নগরীর নিম্নাচল জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বরিশালে বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে জোয়ারের পানিতে ডুবেছে বিভিন্ন এলাকা আবার অপরদিকে টানা বৃষ্টিপাতে এই পানি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা। সদর উপজেলার লামচরি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সেখানকার নদী ভাঙ্গনে সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। বরিশালের দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট বন্দর, বাকেরগঞ্জের কবাই, নলুয়া, দূর্গাপাশাসহ অনেক এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। এছাড়াও হিজলার পুরাতন হিজলা, হরিনাথপুর, গুয়াবাড়িয়া, ধুলখোলা সহ কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ, চড়বাড়িয়া, রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে।পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।