শ্রীলঙ্কায় গত মাসের মাঝামাঝি জারি করা জরুরি অবস্থা চলতি সপ্তাহের পর আর থাকছে না বলে জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট দপ্তর। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভ স্তিমিত হয়ে আসার পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দপ্তরটি এ কথা জানায়।
জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকটের কারণে কয়েক মাসের তুমুল বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে পূর্বসূরি গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালানোর পর গত ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কার আইনপ্রণেতারা রনিল বিক্রমাসিংহকে নতুন প্রেসিডেন্ট বানান।
ছয় বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বিক্রমাসিংহে অবশ্য ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালেই গত ১৮ জুলাই জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। সাত দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চেয়ে লাখো বিক্ষোভকারী বিভিন্ন সরকারি ভবনে হানা দিলে তাকে ঐ জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহেই জরুরি অবস্থা শেষ হচ্ছে, রাজধানী কলম্বোতে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে এমনটাই বলেছেন বলে তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে তার দপ্তর। তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বেইলআউটের আলোচনা এগিয়ে নিতে শান্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছেন। সার্বভৌম ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতা দ্বীপদেশটিকে এরই মধ্যে ঋণখেলাপিতে পরিণত করেছে।
জুন-জুলাইয়ে বেশকিছু কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার পর সোমবার নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল শ্রীলঙ্কার রেটিং ‘ডি’ তে নামিয়ে এনেছে। ঋণখেলাপিদের ক্ষেত্রেই এস অ্যান্ড পি-র রেটিং ‘ডি’ হয়। আইএমএফের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার পাওয়ার আশায় দেশটি এখন তাদের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণ পুনর্গঠনের কথা ভাবছে এবং সে অনুযায়ী তারা তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।