শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টুইটার ব্যবহার করায় এক সৌদি নারীর ৩৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৪:৩০

টুইটার অ্যাকাউন্ট রাখা, ভিন্ন মতাবলম্বী ও অ্যাক্টিভিস্টদের অনুসরণ করায় এক নারীকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি আদালত। যুক্তরাজ্যের লিডস ইউনিভার্সিটির ঐ শিক্ষার্থী নিজ দেশে ফিরে এই দণ্ডের মুখে পড়েছেন। এক প্রতিবেদন এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

সালমা আল-সেহাব (৩৪) নামের ঐ নারী দুই সন্তানের মা। ইন্টারনেট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ‘মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি এবং নাগরিক ও জাতীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নের কারণ’ হওয়ার ‘অপরাধ’ করায় তাকে প্রাথমিকভাবে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে গত সোমবার একটি আপিল আদালত তাকে নতুন করে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে দণ্ডভোগের পর তার ওপর আরো ৩৪ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 

প্রসিকিউটররা আদালতে এ নারীর বিরুদ্ধে নতুন অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করলে দণ্ড পরিবর্তন করা হয়। নতুন অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নাগরিক অশান্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের টুইটার অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করে তাদের সহায়তা করা। 

তবে এই মামলায় সেহাব এখনো আপিলের সুযোগ পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দণ্ডিত সালমা আল-সেহাবের ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৫৯। টুইটারে ২ হাজার ৫৯৭। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে টুইটারে তিনি নিজের সন্তানদের ছবি প্রকাশ করতেন। মাঝেমধ্যে রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়ে নির্বাসিত সৌদি অ্যাক্টিভিস্টদের টুইট শেয়ার করেছেন তিনি। 

নির্বাসনে থাকা সৌদি অ্যাক্টিভিস্ট খালিদ আলজাবরি বলেন, সালমার মামলায় প্রমাণ হয় ভিন্ন মতাবলম্বীদের সন্ত্রাসবাদী বলে বিবেচনা করে সৌদি আরব। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ টুইটের জন্য সন্ত্রাসবাদের আদালতে সালমার কঠোর সাজা এমবিএসের নির্মম দমন যন্ত্রের সর্বশেষ প্রকাশ’।

ইত্তেফাক/এএইচপি