শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফুলবাড়ীতে চাহিদার তুলনায় ট্রেনের আসন কম

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:০৬

ঢাকা থেকে ফুলবাড়ীতে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ট্রেনের আন্তঃনগর নীলসাগর, দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে পারছে না এই তিন ট্রেন। আসন বাড়িয়ে সমস্যা সমাধানের দাবি উঠলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহসাই এটি পূরণ হচ্ছে না।

ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে স্থানীয় যাত্রীদের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) শ্রেণির জন্য অনলাইনে পাঁচটি এবং অফলাইনে পাঁচটিসহ শোভন শ্রেণির জন্য অনলাইনে ১০টি এবং অফলাইনে ১০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। একইভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শুধু শোভন শ্রেণির জন্য অনলাইনে ১৩টি ও অফলাইনে ১৩টি এবং দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অনলাইনে ১৫টি এবং অফলাইনে ১৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। তবে একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথম শ্রেণি কিংবা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কামরার জন্য কোনো আসন বরাদ্দ নেই।

এছাড়াও ফুলবাড়ী থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন শ্রেণির অনলাইনে ১৫টি এবং অফলাইনে ১৫টি, বাংলাবান্ধা ও তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন দুইটিতেও শোভন শ্রেণির জন্য অনলাইনে ১৫টি এবং অফলাইনে ১৫টি  আসন বরাদ্দ রয়েছে। এই তিনটি আন্তঃনগর ট্রেনে এখন থেকে প্রথম শ্রেণি কিংবা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কামরার কোনো আসন বরাদ্দ নেই। অনুরূপভাবে খুলনাগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে শুধু শোভন শ্রেণির জন্য অনলাইনে ১৫টি এবং অফলাইনে ১৫টি করে আসন বরাদ্দ রয়েছে। এই দুইটি ট্রেনেও প্রথম শ্রেণি কিংবা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কামরার কোনো আসন বরাদ্দ নেই।

ব্যবসায়ী ওলি চৌধুরী বলেন, ব্যবসার কাজে প্রায়ই ঢাকা যাতায়াত করতে হয় তাকে। অনেক চেষ্টা করেও অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেন না। স্টেশনে গিয়েও পাওয়া যায় না টিকিট। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ফুলবাড়ীতে আসন বরাদ্দ কম থাকায় টিকিট পাওয়া যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক সময় কালোবাজারিদের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে টিকিট কিনতে হয়।

স্টেশন মাস্টার ইস্রাফিল সরকার বলেন, চাহিদানুযায়ী ফুলবাড়ীতে প্রত্যেকটি ট্রেনের আসন সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রথম শ্রেণি ও এসি শ্রেণির জন্য আসন বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। আসন বরাদ্দ কম হওয়ায় টিকিট না পেয়ে যাত্রীদের ফিরে যেতে হচ্ছে। ফুলবাড়ী পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, ট্রেনের যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে ট্রেনগুলোর আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, ফুলবাড়ী রেল স্টেশন দিয়ে ফুলবাড়ীসহ দিনাজপুর সদর, পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরের একাংশের মানুষ যাতায়াত করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আসন বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

ইত্তেফাক/এআই