শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্মৃতির আয়নায় রানি এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:১৩

গ্রেট ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন ব্রিটিশ জনগণের হৃদয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ রানি। মিশরের রাজা ফারুক তার রাজতন্ত্র হারিয়ে যেমন আক্ষেপের কণ্ঠস্বরে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘তাসের রাজারানি ও গ্রেট ব্রিটেনের রাজারানি ব্যতীত আর সব রাজারানি কালের ইতিহাসে হারিয়ে যাবে।’ সেই গ্রেট ব্রিটেনের মহাপরাক্রমশালী রানি ছিলেন হার ম্যাজেস্টি কুইন এলিজাবেথ দ্য সেকেন্ড! ব্রিটিশ রাজতন্ত্র নিয়ে কমনওয়েলথ দেশসমূহের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা ছিল গগনচুম্বী।

১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে তিনি যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন, প্রেসিডেন্টের ডিপিএস হিসেবে আমাকে তার প্রটোকল ডিউটিতে নিয়োজিত করা হয়। তখন তার জনপ্রিয়তা দেখে বিস্ময়ের ঘোর লেগেছিল। ঢাকাসহ যখন যেখানে তিনি গেছেন, মৌমাছির মতো আবালবৃদ্ধবনিতা তাকে সেলিব্রেটির মতো ছেঁকে ধরেছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তিনি ৭০ বছর ব্রিটিশ সিংহাসনে আসীন থেকে অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং রাজমহিমায় ব্রিটিশ জনগণকেও বলা যায় বিশ্ববাসীকে অভিভূত করেছেন। রানির নেতৃত্বের জ্যোতির্ময় আলোয় গ্রেট ব্রিটেনসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের জনগণকে আলোকিত করে তুলেছেন। বিশ্বব্যাপী শান্তির ও সমৃদ্ধির আলোকবর্তিকারূপে রানি বিশ্বের কোটি কোটি মানব-মানবীর হৃদয় স্পর্শ করেছেন। ৯৬ বছরে মৃত্যুর পূর্বে সুদীর্ঘ ৭০ বছরব্যাপী বিশ্বের দুয়ার দুয়ারে রানি তার শান্তির বার্তা ও শুভেচ্ছা নিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত ও আন্দোলিত করে গেছেন।

বিশ্বের সকল দেশে এবং সকল জাতির কাছে তিনি ছিলেন আরাধ্য আকর্ষণীয়, আদরণীয় ও অভিনন্দিত। বাংলাদেশেও তিনি পরম আরাধ্য ছিলেন। প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময়ে ১৯৮৩ সালের ১৪ নভেম্বর রানি এলিজাবেথ বাংলাদেশে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন। প্রেসিডেন্ট এরশাদ তাকে একটি আদর্শ গ্রাম দেখাবেন বলে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রাম দেখাবার জন্য তিন/চার মাস ধরে গ্রামটির উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। গ্রামটিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন। মহামান্য রানি এলিজাবেথ বাংলাদেশের গ্রাম দেখার বাসনা ব্যক্ত করায় প্রেসিডেন্ট এরশাদ তাকে নিয়ে ১৬ই নভেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রাম পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যান। ঢাকার কমলাপুর থেকে রেলের স্পেশাল কোচে রানিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রানির সঙ্গে প্রটোকল ডিউটি করার জন্য তার সফরসঙ্গী হই। কমলাপুর রেল স্টেশনে তাকে একনজর দেখার জন্য সেখানে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-কিশোর-কিশোরী গিজগিজ করছিল। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বিশেষ ভিআইপি স্পেশাল কোচ লাগিয়ে রানি এলিজাবেথকে নিয়ে নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এ খান এবং প্রেসিডেন্ট এরশাদ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রামে পৌঁছালেন বেলা ১১টার দিকে। সেখানে এক পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল টানা হলো। মাছগুলো খই ফোটার মতো লাফাচ্ছিল। (আগের রাতে মাছ এনে ছাড়া হয়) সেই সব মাছের মধ্য থেকে বড় কয়েকটি মাছ সৈনিকরা বুকে জড়িয়ে ধরে ডাঙায় উঠিয়ে আনার কসরত দেখে রানি নির্মল আনন্দ লাভ করেন। রানিকে মৃদু হাসতে দেখে নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এ খান ও প্রেসিডেন্ট এরশাদ তার হাসিতে যোগ দেন। সেখানকার খুব আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল যে, রানির আগমন উপলক্ষ্যে অজ পাড়াগাঁয়ের বৈরাগীরচালা গ্রাম চনমনে কনের সাজে সেজে ওঠে। রাতারাতি রাস্তাঘাট সব পাকা হয়ে ওঠে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলে ওঠে। গ্রামের হিন্দু-মুসলিম মা-বোনেরা তাদের নিজ নিজ সংস্কার অনুযায়ী বিচিত্র বেশভূষা ধারণ করেন। দূর থেকে এক রাখাল বালক বাঁশের বাঁশিতে সুরলহরি তুলে রানিকে মুগ্ধ করেন। রানি সেখানে একটি কাঁঠালতলায় বসে গ্রামবাসীর কথা শোনেন। গ্রামবাসী মহামান্য রানিকে একটি রুপার চাবি উপহার দিয়ে বলেন, ‘এই গ্রামের মালিক আপনি।’

প্রেসিডেন্ট এরশাদ তখন ইন্টারপ্রেটার হয়ে যান। চাবি হাতে নিয়ে রানির মুখে এক ঝলক হাসির রেখা দেখা গেল। দুটি উন্মুক্ত রান্নাঘরে মুড়ি ভাজার অপূর্ব দৃশ্য দেখে রানি প্রীত হন। রানি ঘুরতে ঘুরতে যেদিকে যাচ্ছিলেন বৈরাগীরচালা গ্রামের শিশু-কিশোর-কিশোরী-নারী-পুরুষরা তাকে ঘিরে গোল হয়ে সেদিক পানে যাচ্ছিল এবং তাকে অন্য গ্রহের কেউ মনে করে দুচোখ মেলে রানির দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে ছিল। রানি সেখানে একটি পুকুরে মাছের পোনা ছাড়েন, সে পুকুর এখন মজে গেছে। তাদের মধ্যে কোনো এক ফাঁকে ঘন ঝাঁকড়া অবিন্যস্ত চুল মাথায় কালো বরন মায়াহরিণের মতো আঁখিযুগলের এক স্কুলপড়ুয়া মেয়ে দমকা হাওয়ার মতো হঠাৎ রানির সামনে এসে পড়ে। রানির পাশে দাঁড়ানো প্রেসিডেন্ট এরশাদ চমকে উঠলেন। চারপাশের এসএসএফ ছোঁ মেরে মেয়েটিকে তুলে নিচ্ছিল। রানির হাতের ইশারায় তারা পলকে থমকে যায়! ক্লাস ফোরের হাসিমাখা ঠোঁটের থতমত মেয়েটিকে প্রেসিডেন্ট এরশাদ জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কার সামনে এসে পড়েছ, জানো?’ সরল মনে দ্বিধাহীন চিত্তে সহাস্যে হালকা-পাতলা মেয়েটির সরল স্বীকারোক্তি :‘সবাই বলছে, আমাদের গ্রামে রানিমা এসেছে। আমি শুধু বলেছি উনি মহারানি মা।’

এরশাদ সাহেব তত্ক্ষণাৎ ইন্টারপ্রেটার হয়ে রানির উদ্দেশে বললেন, She is saying you are the greatest Queen on the earth.' এতক্ষণে মহামান্য রানি এলিজাবেথের ভাবগাম্ভীর্য সব টুটে গেল! তিনি তার মৃদু হাসির জ্যামিতিক পরিধি ভুলে গিয়ে একবার সশব্দে হেসে উঠলেন। সকলেই পুলকিত হয়ে উঠলেন। আমি প্রেসিডেন্টের ফটোগ্রাফার আমির খসরুকে বললাম, মেয়েটির ছবি তুলে রাখতে। যতদূর মনে পড়ে পরবর্তী সময়ে তাকে একটি গিফট পাঠানো হয়। রানি এলিজাবেথ ফুলের সৌরভমাখা মিষ্টি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে সস্নেহে বলেন :‘God bless you my child.’

বৈরাগীরচালা গ্রামের অজ্ঞাত ও অখ্যাত উদাসী গ্রাম্য বালিকার উচ্চারিত নতুন খেতাব ‘মহারানি এলিজাবেথ’ অনেক মিষ্টি-মধুর স্মৃতি নিয়ে তিন ঘণ্টার পর সেদিন বৈরাগীরচালা গ্রাম ছেড়ে ঢাকা ফিরে গেলেন! পশ্চাতে রয়ে গেল ‘মহারানির’ স্মৃতিকাতর বৈরাগীরচালা গ্রামের মানুষের মহা আনন্দের হই-হল্লার দুপুরবেলা!

রানি এলিজাবেথ ও তার স্বামী ডিউক অব এডিনবরা সাভারে স্মৃতিসৌধে গিয়ে আমাদের ৩০ লাখ শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আমার প্রটোকল ডিউটি হিসেবে আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম। তিনি ও তার স্বামী দুটি গাছের চারা রোপণ করেন। সেখানে রক্ষিত খাতায় রানি যখন তার মন্তব্য লিখছিলেন, আমি ঠিক তার ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং আমার ডান পাশে তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। (ছবিতে যেমন দেখা যাচ্ছে।) আমি লক্ষ করলাম, প্রিন্স ফিলিপ সেখান থেকে আমাদের স্মৃতিসৌধের মনুমেন্টের দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছেন। আমার আবেগ দমন করতে না পেরে আমি তার উদ্দেশে বলে ফেললাম : ‘Your Royal Highness, the monument is the symbol of our 3 million martyrs of Liberation war of Bangladesh.’ রানি এলিজাবেথ তার স্বাক্ষর শেষে উঠে দাঁড়ালেন। তার স্বামী খাতায় স্বাক্ষরের জন্য চেয়ারে বসলেন। মহামান্য রানি এলিজাবেথ বসা অবস্থায় আমার কথা শুনে ফেলেছিলেন বলে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি আমার দিকে ফিরে অস্ফুট স্বরে বললেন, ‘3 Millon?’

নম্রনত স্বরে মহামান্য রানিকে বললাম, ‘Your Majesty, yes please. Pakistan Amry killed 3 million of our people in 1971.’

৩০ লক্ষ নিরাপরাধ মানুষের নির্মম গণহত্যার কথা শুনে স্বর্গীয় সৌন্দর্যমণ্ডিত রানির পুণ্যময় চেহারা নিমেষে বিষাদসিক্ত হয়ে উঠল! বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস স্মরণে বঙ্গভবনে দেওয়া ভাষণে রানি এলিজাবেথ বলেছিলেন, ‘প্রায় শূন্য হাতে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ করে তোমরা স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছ। বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দেশ। আমি দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ এশিয়া-ইউরোপের দেশকে পেছনে ফেলে একদিন বিশ্বের সম্মুখ সারির দেশের আসন লাভ করবে।’

মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ও মহামান্য রানি এলিজাবেথের ব্যক্তিগত অবদানের বিষয় আমার মুক্তিযুদ্ধের চারটি বইতে আমি তুলে ধরেছি। ২০০০ সালে বাংলা একাডেমি  কর্তৃক ইংরেজিতে প্রকাশিত  ‘Bangladesh Wins Freedom’ বইতে ও মাওলা প্রকাশনী বাংলায় প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ উইনস ফ্রিডম’ গ্রন্থে ১৯৭১ সালে গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথের সাক্ষাৎকার ছাপিয়েছি। লন্ডনের সেলিসবারিতে তার বাড়ি গিয়ে ১৯৯৬ সালে আমার নেওয়া তার সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করি। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি বলতে ভুলে যাননি, ‘তোমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিষয়ে মহামান্য রানি এলিজাবেথ প্রচ্ছন্নভাবে অবহিত ছিলেন এবং তোমাদের ওপর অমানবিক আচরণের জন্য তোমাদের প্রতি তার প্রবল সহানুভূতি বিদ্যমান ছিল।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকার পর পারস্পরিক যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত জার্মানি ও ব্রিটেনের মধ্যে পুনরায় মিত্রতার বন্ধন গড়ে তোলার মূল কারিগর ছিলেন রানি। যার ঐতিহাসিক ফলাফল হয়েছিল ব্রিটেন ও জার্মানির জন্য সুদূরপ্রসারী। তখন থেকে ইউরোপে শান্তির দূত বলে তাকে অভিহিত করা হতে থাকে। উল্লেখ্য যে, তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে জার্মান রাজবংশের রক্তের বন্ধন বিদ্যমান ছিল। তার সময়ে ব্রিটিশ কলোনি, ‘যেখানে কখনো সূর্য অস্তমিত যায় না’—প্রবাদ বাক্য চালু ছিল এবং যেখানে তখন ৬০ কোটি লোকসংখ্যা (বর্তমানে ৩৫০ কোটি) ছিল, সেসব কলোনিগুলো তার চোখের সামনে ধীরে ধীরে স্বাধীন হয়ে যায় এবং মহানুভব হৃদয়ে রানি এলিজাবেথ সেসব স্বাধীন জাতিকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। তার রাজত্বকালে সর্বশেষ আফ্রিকার ঘানা থেকে ক্যারিবীয় দেশ বার্বাডোজ স্বাধীন হয়ে যায়। আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিশাল উপনিবেশ ছিল। সেগুলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একে একে স্বাধীন সার্বভৌম দেশরূপে উত্থিত হয়। কিন্তু নেতৃত্বে অবিচল ও দোর্দণ্ডপ্রতাপের অধিকারী রানি এলিজাবেথ এ দেশগুলোর স্বাধীনতা অনুষ্ঠানে তার প্রতিনিধি প্রেরণ করেন। তাদের হাত থেকে তার প্রেরিত সনদ ও ঘোষণা হাতে নিয়ে তারা স্বাধীনতা দিবস শুরু করে। তার ৭০ বছর রাজ শাসনামলে বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তিনি ব্রিটিশ কলোনিগুলোকে স্বাধীনতা দিয়েও তার অলৌকিক প্রভায় এক সুতায় আবার বেঁধে ফেলেন। কমনওয়েলথভুক্ত করেন এবং রানি এলিজাবেথকে কমনওয়েলথের সুপ্রিম অভিভাবকের আসনে বসিয়ে সবাই পরম শ্রদ্ধায় ও মান্যতায় তাকে আবার অভিবাদন জানান। এমনকি তার আমলে গ্রেট ব্রিটেনের সর্বশেষ ফকল্যান্ড যুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশ রানি এলিজাবেথের পেছনে কিউ দিয়ে দাঁড়িয়ে তাকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছেন। তার সিংহাসন আরোহণের ২৫তম, ৫০তম ও ৭৫তম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সমস্ত কমনওয়েলথ দেশে যেসব রাজকীয় অনুষ্ঠান চলে তাতে আবারও প্রমাণিত হয় তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে এবং তার দোর্দণ্ড শাসনক্ষমতা তাবৎ দুনিয়ার বিস্ময়। তার মহাপ্রয়াণে বিশ্ব মানবজাতির বুকে অসীম শূন্যতা ও অসীম বেদনার বিন বেজে উঠেছে। জাতি, ধর্ম ও বর্ণনির্বিশেষে বিশ্ব মানবজাতির কাছে তার যে মিশন ছিল, শান্তির আলোকবর্তিকার সে মিশন রানি এলিজাবেথের চিরঞ্জীব নামের সঙ্গে চির অক্ষয় ও চির অমর হয়ে রবে।

লেখক : স্বাধীন বাংলা বেতারের ওয়ার করেসপন্ডেন্ট এবং সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার

ইত্তেফাক/ইআ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন