সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল উপলক্ষ্যে আজ সকাল থেকেই রাজধানী কাঠমুন্ডুর থামেলের বাংলাদেশী অধ্যুষিত মুসলিম চকে সাজ সাজ রব পড়ে যায়।
আরিফুর রহমান নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একদল বাংলাদেশি সমবেত হন স্থানীয় ইয়াসিন রেস্টুরেন্টের সামনে। এখানেই মূলত বাংলাদেশী প্রবাসীরা খাওয়াদাওয়া করে থাকেন। সুলভ মুল্যে পাওয়া যায় বাংলাদেশী খাবার।
আরিফ, ডেভিডসহ একদল প্রবাসী বাংলাদেশি সেখানেই বাংলাদেশি পতাকা সংগ্রহ করে তা বিলি করতে থাকেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টিকিটও সংগ্রহ করেন তারা। এরপর আনুমানিক দেড়শত বাংলাদেশীকে নিয়ে হাজির হন দশরথ রঙ্গশালায়।
আরিফের নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল বাংলাদেশ দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি মাসুদ আলমের নেতৃত্বে আরো একদল বাংলাদেশি।
১৫ হাজার স্বাগতিক দর্শকের ভিড়ে মাত্র হাতে গোনা কিছু বাংলাদেশি যেন চিৎকার করেই উৎসাহিত করতে থাকেন সাবিনা-সানজিদাদের। যদিও মাঠ ভর্তি স্বাগতিক দর্শকদের সরব উপস্থিতিতে তাদের সেই চিৎকার চাপা পড়াটাই স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশের পতাকা দেখে তারা যে উৎসাহিত হয়েছিল সাবিনারা সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। যার প্রতিফলন দেখা যায় লাল সবুজের মেয়েদের তাদের মাঠের পারফরম্যান্সে।
স্বাগতিক দর্শকদের বিপরীতে গিয়েও তারা জাতিকে এনে দিয়েছে স্বপ্নের ট্রফি। এ যেন নতুন এক বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলেছে তারা। অপরাজিত থেকে প্রথমবারের মতো সাফের সেরার মুকুট মাথায় তুলে ইতিহাস গড়েছে সাবিনারা।
সূত্র: বাসস