তুমব্রু সীমান্তের অধিবাসীদের মধ্যে আতংক ও হতাশা বেড়েই চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে গোলাগুলির আওয়াজে কাঁপছে সীমান্ত ঘেঁষা হেডম্যান পাড়া। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হেডম্যান পাড়ার ঘর গুলো শূন্য। বাড়িতে কেউ নেই। ঘরের দরজা বন্ধ।
পাড়ার হেড়ম্যান থাইনচাপু তংচংগা জানান, রাত হলেই তাদের ঘুম নেই, নারী শিশু বৃদ্ধরা পাড়া ছেড়ে চলে যায় নিরাপদ স্থানে। তাই বাড়ির দরজা বন্ধ। জুমের ধান এবং সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গুলাগুলির জন্য কাজে যাইতে পারছে না জোমিয়ারা।
তমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখার খুব কাছে মাঝেরপাড়ায় বসবাস করেন নুর সালাম। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৪ রাতদিন মিয়ানমারের বেপরোয়া গুলি ও গোলার বিকট শব্দে ঘুম নেই তার। এরই মধ্যে পরিবারের অনেক সদস্য ভয়ে ঘর ছেড়ে রাতে আশ্রয় নেন অন্য জায়গায়। শুধু নুর সালাম নন, কাঁটাতারঘেঁষা সীমান্ত এলাকায় বাস করা প্রতিটি পরিবারের এখন একই অবস্থা। আতঙ্কে আর নির্ঘুম রাত কাটাতে চান না তারা; থাকতে চান নিরাপদে।
সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এরই মধ্যে ৩০০ পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে তাদের সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য এবং আশ্রয় কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়নের সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমানা পড়েছে ১৫ কিলোমিটারের মতো।