শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাণীনগরের চলছে প্রতিমা সাজনোর শেষ সময়ের কাজ

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:২৯

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৪৬টি পূজা মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনের সব প্রস্তুতি শেষের দিকে। বর্তমানে পূজা মণ্ডপগুলোতে কত সুন্দর ভাবে প্রতিমা তৈরি করতে পারে তার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পিরা। ইতিমধ্যে কিছু কিছু মন্দিরে প্রতিমার অবকাঠামোগত মাটির কাজ শেষে এখন চলছে রং আর সাজ-সজ্জার কাজ। কিছু কিছু মণ্ডপে প্রতিমা সাজানোর কাজ শেষ হলেও অধিকাংশ মণ্ডপেই চলছে রঙের কাজ।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪৬টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই দূর্গোৎসব। তবে গতবছরের চেয়ে এই বছর ৬টি পূজা মণ্ডপ কমেছে। আগামী ১অক্টোবর দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আর ৫অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে ৫দিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হবে। উপজেলার কালীবাড়ি হাট কেন্দ্রীয় মন্দির, কলেজপাড়া, হাটখোলা, ত্রিমোহনী বাজার মণ্ডপগুলোতে ইতিমধ্যেই প্রতিমা রং করা ও সাজানোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে অন্যান্য কাজ। তবে আগামী শুক্রবারের মধ্যে উপজেলার সকল মণ্ডপের প্রতিমাগুলোর রং ও সাজ-সজ্জার কাজ শেষ করে মন্দির কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান একাধিক প্রতিমা তৈরির কারিগররা।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি চন্দন কুমার মোহন্ত জানান, ইতিমধ্যেই আমরা কমিটির পক্ষ থেকে সকল মন্দির কমিটির সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি। একটি শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে দুর্গা উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে কমিটির সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আমি আশাবাদী অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছরও অত্যন্ত সুষ্ঠ ভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্গা উৎসবকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজাকে ঘিরে মাদকের বিস্তারকে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারী রাখা হবে। কেউ যাতে কোন প্রকারের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ এবং প্রতিটি মণ্ডপে গ্রাম পুলিশ, আনছার বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরাও নিরাপত্তা প্রদানের কাজে নিয়োজিত থাকবে। আমি শতভাগ আশাবাদী এবার উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলাবাসী দুর্গা পূজার অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব কিন্তু সবার। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও প্রতিটি মণ্ডপে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পূজা সনাতন ধর্মের মানুষদের হলেও উৎসবে অংশ নেয় সমাজের সব শ্রেণির মানুষ। আর সেই উৎসবটি যেন সুষ্ঠ, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, পূজা শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আমি ইতিমধ্যেই আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার সব মন্দির কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। এই পূজাকে ঘিরে মাদকের বিস্তার, বেপরোয়া ভাবে বাইক চলাচলে দুর্ঘটনা রোধসহ অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের কঠোর ভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছি। 

ইত্তেফাক/এআই