রাজধানীর মিরপুর সেকশন-১১ এর প্যারিস রোড মোড়ের ৭০ কাঠার খোলা জায়গা যা কালার বস্তি নামে পরিচিত—এখন থেকে সেটি খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম প্যারিস রোডে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানাতে এসে এ ঘোষণা দেন।
গত কয়েকদিন প্যারিস রোড মাঠ পুনরুদ্ধার কমিটির ব্যানারে উত্তর সিটির ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের নেতৃত্বে এ বস্তিতে মাঠের দাবিতে আন্দোলন করছে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পুরো মাঠের চারপাশ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ৩নং ওয়ার্ডের আওতাধীন মিরপুর ১১ এলাকায় প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এই এলাকায় ৬০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে যেমন প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা, তেমনই প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই অঞ্চলে খেলার মাঠ নেই। চারপাশে শুধু ভবন নির্মাণ হচ্ছে।
আতিক বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় এই প্যারিস রোড মাঠে খেলেছে। এই এলাকার অনেক বয়স্ক মানুষ জানিয়েছেন তারা শৈশবে এই মাঠে খেলেছেন। ড্যাপের নকশায় এটিকে উন্মুক্ত স্থান হিসেবে দেখানো আছে। অথচ জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এই মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। জনগণের স্বার্থে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই খেলার মাঠ পুনরুদ্ধার করবো।
এই উন্মুক্ত স্থানটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ডিএনসিসিকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরেই ড্যাপের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। নকশায় এটি একটি উন্মুক্ত স্থান। যেখানে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। ড্যাপের নকশা অনুযায়ী এই উন্মুক্ত স্থানটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে খেলার মাঠ হিসেবে বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ করছি। বরাদ্দ দেয়া হলে আমরা একটি আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ করবো। মানুষের হাটার জন্য মাঠের চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করবো।
এসময় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগকে তাৎক্ষনিক মাঠের বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেন। মেয়রের উপস্থিতিতে মাঠের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্জ্য অপসারণ হলে ডিএনসিসি মেয়র মাঠে প্রবেশ করেন এবং উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে ফুটবল খেলে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।