বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ: ৭৮ জন কারাগারে 

আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২২, ০১:০৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সিতারামপুর গ্রামে গায়ে হলুদের মঞ্চকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৭৮ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।

গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় দৌলতপুর ও সীতারামপুর দুই গ্রামবাসীর মাঝে দফা দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১২৭ জনকে আসামি করে মামলা করে একপক্ষ। অন্যদিকে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে ওই মামলা ৭৮ জন আসামি হাজিরা দিতে গেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সামিউল আলম তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। 

উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের বিয়ে বাড়ির গেটের ডিজাইন ও গায়ে হলুদের মঞ্চ পছন্দ না হওয়ায়কে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে। ওই ঘটনার মামলায় সীতারামপুর গ্রামের আসামিরা হাইকোট থেকে আগাম জামিনে রয়েছেন। অন্যদিকে দৌলতপুর গ্রামের আসামিরা পলাতক থাকা অবস্থায় সোমবার (৩১ অক্টোবর) ৭৮ জন আসামি হাজিরা দিতে কোর্টে যান। 

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট সীতারামপুর গ্রামের রিয়াজুদ্দিন গোষ্ঠির রাজু মিয়ার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। সেখানে ডেকোরেশনের কাজ করেন দৌলতপুর গ্রামের হাসান আলী বাড়ির এক ছেলে। গায়ে হলুদের মঞ্চ ডিজাইনের কাজ পছন্দ না হওয়ায় ডেকোরেশনের ছেলেটির সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে উভয় পক্ষকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক শালিস সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এরই মাঝে সন্ধ্যার পর খবর আসে দুই গ্রামের দুই যুবক তর্কবিতর্ক থেকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আহতের পাশাপাশি অনেক দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে অর্ধশতাধিত রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রতীকী ছবি

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রনি বলেন, ওই সংঘর্ষে দুই গ্রামের ১২৭ জনের নামে প্রথমে মামলা হয়। তারপর পুলিশ আজ্ঞাতনামা আরও ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তখন ১১ জনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই জামিনে রয়েছে।

সীতারামপুরের আসামিরা হাইকোট থেকে জামিন আনলেও দৌলতপুরের আসামিরা পলাতক ছিলেন। এখানো মামলার চার্জশীট দাখিল করা হয়নি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। 

ইত্তেফাক/পিও