বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অধিক লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৪৩

চলনবিল সংলগ্ন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশে আর্থিক লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত এখানকার কৃষকরা। বিলের পানি নেমে যাওয়ায় উর্বর মাটিতে তারা জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুর বীজ লাগাচ্ছেন। এলাকার হাটগুলোর মোকামি আলু বীজ বেচাকেনা হচ্ছে। এক কেজি রোমানা বীজ আলু ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উল্লাপাড়াতে এক হাজার হেক্টর জমিতে এবং তাড়াশে প্রায় ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উল্লপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর, সাতবিলা মাঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আলু আবাদ করা হয়। গত কয়েকদিনে এ দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠে কৃষকেরা আলু আবাদ শুরু করেছেন।

সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের মাঠে কৃষক আ. রাজ্জাক বলেন, প্রায় ১ মাস আগে তার তিন বিঘা জমিতে আলু বীজ রোপন করেছেন। তিনি আশা করছেন আলুতে ভালো ফলনের পাশপাশি ভালো দামও পাবেন।

মোহনপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাদিদুল ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নের মাহমুদপুর ও সাতবিলার কৃষকেরা বিভিন্ন এলাকার কোল্ড স্টোরেজে আলু বীজ রেখেছেন। তারা সে বীজ এখন আলু জমিতে লাগানো শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্ট কৃষকরা জানান, উল্লাপাড়া ও তাড়াশের হাটে ব্যবসায়ীদের আনা মোকামি বীজ আলু কেনাবেচা হচ্ছে। তবে কৃষকদের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদার রোমানা আলু বীজ, যা ৩৫ টাকা কেজি দরে কেনাবেচা হচ্ছে। এ ছাড়া কাঠিলাল, সাইটা বীজ আলু প্রতি কেজি ২৬ থেকে ৩০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

আলু ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, তিনি মোকামি আলু বীজ এনে বিক্রি করছেন।কৃষকেরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বীজ আলু কিনছেন।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলায় চলন বিলের পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে   এখানকার কৃষকরা আলু চাষে নেমেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সঠিক পরিমাণ রাসায়নিক সার, ভালো বীজ লাগাতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্ষায় এই এলাকার জমিগুলো বেশ উর্বর হয় যে কারণে আলুর ফলন ও ভালো হয়। ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়। 

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও এখানকার কৃষকরা আলু চাষ করছেন।

বিলের উর্বর মাটিতে আলুর ফলন ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা বাজারে অধিক দামে বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকে। ফলে কৃষকদের মাঝে আলু চাষের আগ্রহ বাড়ছে।

ইত্তেফাক/আরএজে