সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিয়ানীবাজারে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের গ্যাসের সন্ধান 

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৫৩

বর্তমান তেল-গ্যাস সংকটকালীন সময়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের ১নং পরিত্যাক্ত কূপে গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডের সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, এই কূপে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুদ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) কূপ থেকে গ্যাসের উৎপাদন পরীক্ষণ শুরু হয়েছে। আগামী মাস থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
  
‘নতুন এই প্রাপ্ত গ্যাস স্থর থেকে ভালো পরিমাণ কনডেনসেট পাওয়া যাচ্ছে। যা ডিজেল ও পেট্রোলের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে’ উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস ও তেল অনুসন্ধানে থ্রিডি সিসমিক জরিপ চলছে। এর ফলে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিন্ডে নতুন কূপ আবিষ্কার বা এই কূপে পাওয়া গ্যাস মজুদের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে কর্মকর্তরা জানান, ডিএসটি পদ্ধতিতে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরীক্ষণ চালানো হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টা পরীক্ষণ শেষে দৈনিক গ্যাস উত্তোলনের প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

পরীক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হলে কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করছেন তারা।

গত ১০ সেপ্টেম্বর কূপটি নতুন করে পুনঃখননের কাজ শুরু হয়। খননের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। নতুন গ্যাস স্তরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সূত্র মতে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ৯১ সালের ৩১ জুলাই গ্যাস উত্তোলনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সাল থেকে এ কূপের উৎপাদন বন্ধ হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। এরপর বাপেক্স কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর কূপ পুনঃখনন কাজ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধান পাওয়া গ্যাসের উৎপাদন পরীক্ষণ শুরুর সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডের সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের জিএম (অপারেশন) প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক, জিএম (এলপিএম) প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, জিএম (আরডি) প্রকৌশলী আলমগীর আজাদ, জিএম (ডিএনডি) কামরুল ইসলাম সর্দার, জিএম (অর্থ) পান্না লাল ধরসহ গ্যাস ফিল্ড কর্মচারী পরিষদ, কর্মচারী লীগ ২৮৮৯, সিবিএ পরিষদ, আঞ্চলিক কমিটির নেতারা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক জানান, ৭২ ঘণ্টা পরীক্ষণ শেষে তাদের কিছু কারিগরি পরীক্ষা রয়েছে। এসব কার্যক্রম শেষে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত হবে। এই মাসেই জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে বলে এই কর্মকর্তা বলেন।

ইত্তেফাক/পিও