ফরিদপুরে বাস মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা দুই দিনের ধর্মঘটের কারণে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৫ জেলা থেকে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সঙ্গেও রাজধানীর বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট ৪ দিন বরিশালে দূরপাল্লার রুটের বাস চলাচল বন্ধ হলো। ঢাকা রুটে বাস বন্ধের পূর্ব ঘোষণা না থাকায় সাধারণ যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ঢাকামুখী যাত্রীদের বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক বাবলু জানান, বৃহত্তর ফরিদপুরের বাস মালিক ও শ্রমিকরা শুক্র ও শনিবার ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট আহবান করেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঢাকা রুটের বাসগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় অতিক্রম করতে হয়।পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ঐ জেলার সড়ক পথে বাস চলাচল করতে দেবেন না ফরিদপুরের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীর যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্দ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল থেকে বেনাপোল রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেন না বেনাপোলে ফরিদপুরের উপর দিয়ে যেতে হয়।
ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের সমন্বয়কারী শামা ওবায়েত বলেন, সরকার সব জায়গায় পরিবহন ধর্মঘট ডেকে বিএনপির গণসমাবেশে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। ফরিদপুরেও তেমনটা করা হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই শনিবার বিএনপির সমাবেশকে আটকাতে পারবে না।