বগুড়ায় বিলিয়ার্ড (পুল) খেলাকে কেন্দ্র করে জুনায়েদ আল হাবিব বিপুল (২১) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকার মৃত কমল রায়ের ছেলে দীপংকর রায় (১৯), নামাজগড় এলাকার ফটিক হোসেনের ছেলে আরিফ হাসান (৩২), শহরের দক্ষিণ কাটনারপাড়ার মনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকি আল মামুন (২৭), ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মাহমুদুন নবীর ছেল শোয়াইব নবী (২২) ও শিববাটি এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সাহিল (২০)।
এর আগে, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের নামাজগড় এলাকায় পুল খেলা নিয়ে বিরোধে কিছু যুবক জুনায়েদ আল হাবিব বিপুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। বিপুল শহরের বাদুরতলা এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে ও পেশায় একজন দোকান কর্মচারী।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, শহরের নামাজগড় এলাকার তালুকদার মতি ম্যানশনের ৩য় তলার একটি প্রতিষ্ঠানে পুল খেলছিলেন বিপুল। এ সময় ৬ থেকে ৮ জন যুবকের একটি দল সেখানে গিয়ে বিপুলকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে ওই যুবকদের সাথে বিপুলের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা বিপুলের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বিপুলকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। ডিবি বগুড়া ও সদর থানা পুলিশের যৌথ টিম বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে চাকুসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বিলিয়ার্ড বোর্ডে খেলা নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।