শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

রিয়াদে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, ২০:২৭

সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ডিফেন্স অ্যাটাশে, কূটনীতিক, সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, রিয়াদস্থ বাংলাদেশি চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার অভিবাসীরা যোগ দেন।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এয়ার ভাইস মার্শাল খালেদ বিন সালামাহ আতিকুল্লাহ আল লোকমানী উপস্থিত ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, প্রধান অতিথি ও ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডীন জিবুতির রাষ্ট্রদূত দায়া আদদীন সাঈদ বামাখরামাকে নিয়ে কেক কাটেন। এরপর রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম ফারুক প্রধান অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম ও প্রতিরোধের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে যা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে। রাষ্ট্রদূত মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশ সৌদি নেতৃত্বাধীন ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি) এর গর্বিত সদস্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সৌদি আরবের সাথে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম ফারুক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম, ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

ইত্তেফাক/এসসি