মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

শেরপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সহসভাপতির নানা অভিযোগ

আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৪:০২

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ  অভিযোগ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুল খালেক। গত ১২ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দন কুমার পাল বলছেন, দলের আগামী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তার সম্মানহানির জন্যকিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অভিযোগ এনেছে।

এদিকে মো. আব্দুল খালেক তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, 'শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল জেলার ৫২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি-জামাত নেতাসহ বিতর্কিতদের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নৌকার মনোনয়ন পেয়েছে। যারা মনোনয়ন পায়নি তাদের টাকাও ফিরিয়ে দেননি চন্দন। এছাড়া টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীসহ বিতর্কিত অনেককে কমিটিতে পদ-পদবীতে রেখেছেন তিনি। পাশাপাশি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যে তিনি জড়িত। মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেত্রীদেরও তিনি অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন নাহার বলেন, 'এ ধরনের নেতার জন্য নারীদের রাজনীতি করা দায় হয়ে উঠেছে। তিনি সন্ধ্যা হলে মদ খেয়ে পড়ে থাকেন, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামীলীগের নারী নেত্রীদের সব সময় কু-প্রস্তাব দেন, অশালীন ভাষায় কথা বলেন।'

শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক বলেন, 'চন্দন কুমার একটানা ২০ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। দল তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার প্রভাবে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তিনি স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন, ফলে যোগ্য নেতাদের বাদ রেখে অযোগ্যরা সামনে আসার সুযোগ পাচ্ছে। তার কারণে শেরপুরে আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে যাচ্ছে।'

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল বলেন, আগামী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অনেকেই আমার পিছু লেগেছে। আমি ৩০ বছর ধরে ডায়াবেটিসের রোগী, আমি কখনো মদ পান করি না। নারীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগটিও মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষরের ভিক্তিতে মনোনয়নের তথ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আমি নিজেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকার কাছে হেরেছি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের টাকার বিনিময় আওয়ামী লীগে স্থান দেওয়ার অভিযোগও সত্য নয়।

ইত্তেফাক/এএইচপি