ছুটির দিনে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে মাংসসহ আটা দাম। গরুর মাংসের পাশাপাশি মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখি। এদিকে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকায় আবার কোনো কোনো দোকানে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, খাসির মাংস ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে প্যাকেট আটার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা ৬৫ টাকায়।
সরকারের বেধে দেওয়া দাম অনুসারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকায় বিক্রি করার কথা। তবে বাজারে সব ধরনের চিনিই ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়, পাবদা মাছ আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চাষের কই ২৪০ টাকায়, পাঙাস মাছ ২০০ টাকায়, সিলভার কার্প মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, ছোট সাইজের শিং মাছ ৪০০ টাকায়, ট্যাংড়া মাঝারি ৬০০ টাকায়, ছোট চিংড়ি ৫০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া টাকি মাছ ৪০০ টাকায়, আঁইড় মাছ ৮০০ টাকায়, রুপচাঁদা মাঝারিটা ৭০০ টাকায়, কাতল মাছ ৩০০ থেকে আকার ভেদে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী ফজর আলী বলেন, মাছের খাবারের দাম বাড়ার কারণেই বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে আগের চেয়ে মাছ পরিবহন করে আনার খরচও অনেক বেশি। সব মিলিয়ে বাজারে মাছের দাম বেড়েছে।
রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
মুরগির বিক্রেতা আমিন বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম থাকায় দাম বাড়ে।