শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাজারের ময়লা ফেলা হচ্ছে তিতাসের পাড়ে

আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০২:৩২

হোমনা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামকৃষ্ণপুর বাজারের ময়লা ফেলা হচ্ছে তিতাস নদীর পাড়ে। দিনের পর দিন এভাবে নদীর পাড়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি চলাফেরা করতেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া জীবাণুবাহী বর্জ্য যত্রতত্র ফেলায় নদী পাড়ের ক্রেতা-বিক্রেতারা বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবর্জনার উৎকট গন্ধে জনজীবন বিষিয়ে উঠেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশ দূষণকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদীর তীরে আবর্জনার স্তূপ। বাজারের পশ্চিম পাশ থেকে শুরু করে রামকৃষ্ণপুর লঞ্চঘাট হয়ে বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া পুরো নদীর পাড়েই বিভিন্ন হোটেলসহ রাস্তা-ঘাট ও দোকানের বর্জ্য ফেলে রাখা হয়েছে। দিনের পর দিন পার হলেও এসব বর্জ্য পরিষ্কার না করায় আবর্জনা পচে গলে নদীর পানিতে মিশছে। এতে নদীর পানিও বিষাক্ত হয়ে উঠছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমরুল কায়েস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক সময় মানুষ তিতাস নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে নদীর পাড়ে ভিড় করত। আর এখন ময়লায় সয়লাবে নদীর পাড় দিয়ে চলাফেরাই করা যাচ্ছে না। এখান দিয়ে মানুষকে নাকে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়, নতুবা দম বন্ধ হয়ে আসে। এই বাজারের লঞ্চঘাটটি একটি ঐতিহ্যবাহী নৌঘাট। এখান থেকে বড় বড় লঞ্চ ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াত করে থাকে। আবর্জনার গন্ধে সাধারণ মানুষের চলাচল করতেও মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। 

নদীর তীরবর্তী ব্যবসায়ী এমদাদুল হক বলেন, নদীর পাড়ে আবর্জনার স্তূপ ঘিরে থাকা মশা-মাছি দোকানে প্রবেশ করে রোগবালাই ছড়াচ্ছে। আর পচা গন্ধতো আছেই। আমরা লোকজনকে নিষেধ করলেও তারা নদীর পাড়েই এনে ময়লা ফেলছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণপুর বাজার কমিটির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, বাজারের ময়লা ফেলার জন্য ভুরভুরিয়া গোদারাঘাটসংলগ্ন এলাকায় নির্দিষ্ট ডাম্পিং রয়েছে। তারপরও কেন মানুষ নদীর পাড়ে ময়লা ফেলে তা বোধগম্য নয়। তবে বিষয়টি আমি দেখছি।

এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, নদীদূষণ রোধে জনসচতেনতা তৈরি করতে আমরা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করছি। পাশাপাশি নদীতে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

ইত্তেফাক/ইআ