শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিশ্ব এইডস দিবস আজ

এইডসের চিকিৎসায় স্থবিরতা উদ্বেগ ইউনিসেফের

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:০২

জাতিসংঘ শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ঘাতক ব্যাধি এইডস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। গত মঙ্গলবার ইউনিসেফ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে এই অবস্থাকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ সারাবিশ্বে এইডস দিবস পালিত হচ্ছে।

ইউনিসেফের শিশু, এইচআইভি ও এইডস সংক্রান্ত সর্বশেষ বৈশ্বিক স্ন্যাপশট প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরী (০-১৯ বছর বয়সি) এইডসজনিত কারণে মারা গেছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো ৩ লাখ ১০ হাজার। ফলে ১৯ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখে উন্নীত হয়েছে।

বিশ্ব এইডস দিবসকে সামনে রেখে ইউনিসেফ সতর্ক করে বলছে, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের এইচআইভি প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখনো অনেক অঞ্চলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগের পর্যায়ের চিকিৎসা সুবিধা ফিরে আসেনি।

ইউনিসেফের এইচআইভি-এইডস বিষয়ক সহযোগী প্রধান আনুরিতা বেইনস বলেন, ‘এইডসের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তবুও গত তিন বছরে এ বিষয়ে যে স্থবিরতা দেখা গেছে, তা নজিরবিহীন। ফলে অনেক কম বয়সি মানুষ নতুন করে অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে।’ প্রতিদিন তিন শতাধিক শিশু ও কিশোর-কিশোরী এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি ।

২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, এইচআইভি আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর মাত্র ৭ শতাংশ শিশু। শিশু ও কিশোরীরা এইডসজনিত কারণে মৃত্যু হয় ১৭ শতাংশ ও নতুন করে আক্রান্ত হয় ২১ শতাংশ। এই অবস্থায় ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এইডস নির্মূল করা প্রায় অসম্ভব একটি বিষয় হয়ে উঠছে। এইচআইভি আক্রান্ত শিশুর মোট সংখ্যা কমে গেলেও, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের আওতার মধ্যে থাকা চিকিৎসা সুবিধার বৈষম্য বাড়ছে। এই বৈষম্য সৃষ্টির পেছনে মূলত করোনা ভাইরাস মহামারি ও অন্যান্য বৈশ্বিক সংকট দায়ী করা হয়েছে। ২০২১ সালে দেখা যায় ৭৫ হাজারেরও বেশি শিশুর শরীরে নতুন সংক্রমণ ঘটেছে, কারণ এ সময় গর্ভবতী নারীদের রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করা যায়নি।

 

ইত্তেফাক/ইআ