ধলেশ্বরীর পর এবার কালিগঙ্গা নদী দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। মানিকগঞ্জের সিরাজপুর বাজারের কালিগঙ্গার তীরে নদী দখল করে দোকানপাট নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে ভূমি দস্যু ও নদী দখলকারীরা। প্রশাসনের নীরবতার কারণেই একের পর এক নদী দখল হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালিগঙ্গা নদীর তীর দখল গড়ে উঠছে দোকানপাট। চান্দহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক বাজারে গলি বন্ধ করে সেখানে ঘর উত্তোলন করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না তার বিরুদ্ধে। বাজার কমিটি ও প্রভাবশালী নেতারা নদী দখল করে এসব জায়গা বিক্রি করছে।
দোকান মালিক সোহেল বলেন, বাজার কমিটি ও নেতারা টাকার বিনিময়ে এ জায়গায় দোকান নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। তবে কমিটির লোকজন টাকার রশিদ দেননি।
নিলু নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ৩ দোকানের মালিক তিনি। এগুলো তার নামেই রেকর্ড হয়েছে। তবে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এছাড়া আরও অনেকের দোকান রয়েছে সেখানে। তাদের অনেকে ভাড়া দিয়ে রেখেছে সরকারি সম্পত্তি দখল করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন বাদল বলেন, নদী সিকস্তি এ সব জমির মালিক সরকার। প্রভাবশালী নেতারা দখল করে দোকানপাট করার সময়ে ইউএনওকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি ম্যানেজ হয়ে যাওয়াতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া বলেন, আমরা কাউকে দোকান নির্মাণের অনুমতি দেয়নি এবং টাকা নিয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। তারা নতুন আওয়ামী লীগ করে। আমরা পুরাতন আওয়ামী লীগের হওয়ায় এদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পারায় বাধা দিতে পারি না। ওদের বিপক্ষে গেলে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থাকবে না। নদীর পাড়ে দোকান নির্মাণের ফলে মালামাল ওঠানামার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
ভূমি কর্মকর্তা আবদুল সালাম বলেন, নদী সিকস্তি এসব জায়গায় সরকারি স্বার্থ সিদ্ধি রয়েছে উল্লেখ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে জানিয়েছিলাম। এরপর দোকান মালিকরা এসিল্যান্ডের সঙ্গে দেখা করেছে। সেখানে কি হয়েছে তা আমি জানি না। ওরা দাবি করে ওদের নামে এ জমি রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু এটা নদী সিকস্তি জমি।