বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উন্নয়নে বাংলাদেশ, চেতনায় বঙ্গবন্ধু

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:২৫

বাঙালি জীবনে নদী এমন এক সত্তা, যা যুগে যুগে আমাদের রক্তের অন্তর্গত চেতনার মধ্যে শানিত হয়ে থাকে। জাতিস্মরের প্রশ্নে, অস্তিত্বের সংকটে, আত্মপরিচিতির প্রয়োজনে যখনই আমরা পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি, তখনই আমাদের চেতনা জুড়ে সহোদরের মতো জেগে থেকেছে নদী। মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো বাঙালির বুকের ভেতর সেদিন উচ্চারিত হয়েছিল আগুন জাগানো এক বিপ্লবী স্লোগান—‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’। আমরা জেনেছিলাম, আমাদের গন্তব্য পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, আমাদের সামনে ছিল একটাই নিশানা—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লাখো বাঙালি সেদিন হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শত্রুর মোকাবিলায়। তাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ—বাংলাদেশ, নদীমাতৃক বাংলাদেশ। চেতনার এই ধারাবাহিকতায় সচল হচ্ছে নদীপথ, গড়ে উঠছে নতুন নতুন সমুদ্রবন্দর, আন্ত এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘটে চলেছে যুপান্তকারী জনবান্ধব উন্নয়ন।

মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা গর্ব ও অহংকার করে বলতে পারি, বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। একসময় একটি রাস্তা, ছোট সেতু বা এমনকি কালভার্ট নির্মাণের জন্য বিদেশি সাহায্যের প্রয়োজন পড়ত। সেই বাংলাদেশ আজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠা করছে। অসংখ্য সেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন সড়কে নির্মিত হয়েছে, এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এক দিনে একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন। একদা যে পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা-ইউনূস ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই পদ্মা সেতু আজ মানুষের কল্যাণে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, খুলে দিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সিংহদুয়ার। ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী টানেলের এক অংশের শুভ উদ্বোধন করেছেন। সামনের জানুয়ারিতেই চালু হতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ টানেল। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে চালিত এটিই প্রথম টানেল। মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হতেও খুব বেশি দেরি নেই। ঢাকা থেকে সুদূর উত্তরবঙ্গে চলে যাচ্ছে ফোর লেনের মহাসড়ক। বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানো হচ্ছে, সেই সঙ্গে যমুনা নদীর ওপর যোগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু। সমুদ্রবর্তী পথকে নান্দনিক আর সুগম করতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত একটানা রেললাইন স্থাপন এবং কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে দুর্দম গতিতে। এছাড়া দেশের আর্থসামাজিক যোগাযোগ এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা ধরনের মেগা প্রকল্পসহ ছোট-বড় অনেক প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে। ফলে বাংলাদেশ ক্রমেই একটি আধুনিক এবং উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 

সারা বিশ্ব যখন মহামারি কোভিড-১৯-এর প্রকোপে জর্জরিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে ধৈর্য, পরিশ্রম ও বিচক্ষণতার সঙ্গে করোনার মোকাবিলা করে চলেছেন। করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবী একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত আমরা একটি ভিন্ন রকম পরিবেশে জীবন যাপন করছি। বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীলসমাজ আশঙ্কা করেছিল যে, ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে; অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা দেখা দিতে পারে এবং বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি অন্ধকারের দিকে চলে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এই সম্ভাব্য কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। একজন সুযোগ্য নেতৃত্ব থাকলে একটি জাতি কীভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারে, তা আমরা আজ সমগ্র বিশ্বকে জানিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ী নারী নেত্রী হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের মধ্যে ‘অসাধারণ নারী নেতৃত্ব ও গভীর অনুপ্রেরণাদায়ী’ তিন জনের নাম উল্লেখ করেন, যারা হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী আমোর মোটলে ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম মর্মে তিনি উল্লেখ করেছেন। 

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল দেশ থেকে তাই উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে স্বমহিমায় এগিয়ে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশকে তিনি উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। তিনি শুধু আগামীর স্বপ্ন দেখান না, তিনি তা বাস্তবায়ন করেও দেখান। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। নিজস্ব অর্থায়নে সরকার গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রথমবারের মতো যোগ হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু টানেল। আগে মহাসড়ক ছিল না; এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলসহ ব্যাপক আধুনিকায়নের মাধ্যমে নগর যোগাযোগব্যবস্থা পালটে দেওয়া হচ্ছে। 

দেশের নৌ ও সমুদ্রসীমানায় আছে উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা। সেসব সম্ভাবনাকে সুদক্ষ হাতে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দরের কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে  বাংলাদেশব্যাপী বিস্তৃত হবে, দেশের প্রতিটি নাগরিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সুফল পাবে। সুনীল সমুদ্রসম্পদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে সমুদ্রসম্পদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে যা দিয়েছিলেন, তারপর আমরা আর কিছু পাইনি। বাংলাদেশ কেবল উলটো পথে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে ১৯টি জাহাজ নিয়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০১০ সাল পর্যন্ত জাহাজ ছিল দুটি। অথচ জাহাজ হওয়ার কথা ছিল কয়েক শত। উলটো পথে চলেছে বলেই ১৯টি থেকে মাত্র দুটি হয়ে গেছে। দেশরত্নের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে কোনো গভীর সমুদ্রবন্দর ছিল না, আজকে ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। পায়রা বন্দর আজকে দৃশ্যমান। মোংলা বন্দরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসছে। এভাবে সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে সাহসী করে তুলেছেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। শুধু সমুদ্রসীমা নয়, আমরা সমগ্র পৃথিবীকে হাতের কাছে আনার চেষ্টা করছি। সে পথযাত্রা আরো দীর্ঘ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিটাইম সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নৌপরিবহন খাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি, মত্স্যসম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম বিবেচনায় নিয়ে নদী রক্ষায় সার্বিক ও সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সার্বিক নির্দেশনায় নৌ-সেক্টর দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বিভিন্ন নদীবন্দরের আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি-রপ্তানির চাহিদা মেটাতে একবিংশ শতাব্দীর যুগোপযোগী, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পটুয়াখালীতে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশি-বিদেশি জাহাজ বন্দরে ভিড়তে শুরু করেছে, রাজস্ব আয়ে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা, ক্রমেই আলোকিত হয়ে উঠছে পটুয়াখালীসহ আশপাশের অন্যান্য জেলা। আগামী ২০২৩ সালে পায়রা বন্দর হয়ে উঠবে একটি বিশ্বমানের আধুনিক ও কার্যকর বাণিজ্যিক বন্দর। 

নৌপথ খননে ৩৪টি ড্রেজার সংগ্রহ ও সুষ্ঠু ফেরি পারাপারের লক্ষ্যে ১৭টি ফেরি নির্মাণ করা হয়েছে। নৌপথ খননে আরো বেশি ড্রেজার সংগ্রহ এবং ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কার্যক্রম, নদী তীর দখলমুক্ত করা এবং নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা এবং দখল ও দূষণরোধে ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। পানগাঁওয়ে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের গতিশীলতা আনয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মেরিটাইম সেক্টরে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং সিলেট, রংপুর, বরিশাল ও পাবনায় চারটি নতুন মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে; আরো ছয়টি জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বিদেশি জাহাজে কর্মরত নাবিকদের জন্য মেশিন রিডেবল পরিচয়পত্র ‘আইডি কার্ড’ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরসহ নতুন ১০টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা পৃথিবীর যেখানেই গেছেন, বাংলাদেশকে আলোকিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের কারণেই আমরা স্বপ্ন দেখছি। আজকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নত দেশে যাব—সেটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করার কারণে। বঙ্গবন্ধুকে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ আমরা যদি ধারণ করতে পারি, তাহলেই আমরা এগিয়ে যাব। ১৯৪৯ সাল থেকে ২০২১ সাল, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করেছে এ ভূখণ্ডের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এ দলটি যখনই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে তখনই দেশের মানুষ কিছু না কিছু পেয়েছে। প্রতিটি দেশের অগ্রগতির পেছনে রাজনীতি থাকে। সেই রাজনীতি যদি সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও দেশপ্রেমের জন্য হয়, তাহলে দেশ কখনো পিছিয়ে থাকতে পারে না। বঙ্গবন্ধু ২৪ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, একটা সত্ এবং সঠিক লক্ষ্য নিয়ে। সেজন্যই তিনি একটি দেশ স্বাধীন করতে পেরেছিলেন। 

লেখক :সংসদ সদ্যস্য; প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 

ইত্তেফাক/ইআ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন