চীন সফররত একটি সিনিয়র মার্কিন প্রতিনিধি দল সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় ও তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। আল-এরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বেইজিং সোমবার (১২ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সফরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ কাজ করছে। পূর্ব এশিয়ার জন্য শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক, চীন ও তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লরা রোজেনবার্গার উত্তর হেবেই প্রদেশে রোববার (১১ ডিসেম্বর) ও সোমবার চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি ফেংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
চীনের নেতা শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এক শীর্ষ সম্মেলনে ভঙ্গুর সম্পর্ক মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে এই সফরের পরিকল্পনা শুরু হয়।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার জানান, হেবেইতে দুই পক্ষ দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বালি শীর্ষ সম্মেলনে পৌঁছানো ঐকমত্য বাস্তবায়নের বিষয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেন। বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
চীন এই স্ব-শাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। এটি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘর্ষণের একটি উত্স। শি ফেং, ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক ও লরা রোজেনবার্গার সব স্তরে আদান প্রদান জোরদার করতে এবং যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন বলে জানান ওয়াং ওয়েনবিন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের পাশাপাশি দেশটির ওপর বেইজিংয়ের কাছ থেকে আরও চাপের প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, 'আলোচনা ছিল অকপট ও মৌলিক। তারা সহযোগিতার সম্ভাব্য উপায়গুলোও অন্বেষণ করেছে যেখানে আমাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়।'