শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৮টি পারমাণবিক বিমান

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১০

তাইপেই দাবি করেছে, চীন তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ১৮টি বোমারু বিমান পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) তারা জানিয়েছে, চীনের এই যুদ্ধবিমান পারমাণবিক বোমা হামলা চালাতে সক্ষম। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বেইজিংয়ের সঙ্গে তাইপের সম্পর্কের অবনতির লক্ষণগুলো বেশ স্পষ্ট এবং তাইওয়ান থেকে আরও পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার কয়েকদিন পরে দ্বীপ অঞ্চলটি এই ঘটনার সাক্ষী হয়। চীনের আক্রমণের শিকার হওয়ার ক্রমাগত হুমকির মধ্যে রয়েছে তাইওয়ান। 

চীন তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ১৮টি বোমারু বিমান পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে চীন স্বশাসিত দ্বীপটিকে তার ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে এবং তারা একদিন দ্বীপটি দখল করার হুমকিও দিয়েছে। ২০১৬ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাই ইং-ওয়েনের নির্বাচনের পর থেকে বেইজিং দ্বীপের চারপাশে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট সাই ​​বরাবরই দ্বীপটিকে চীনের অংশ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। 

মঙ্গলবার সকালে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ২১টি যুদ্ধবিমান দ্বীপ অঞ্চলের দক্ষিণ পশ্চিম এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজে) প্রবেশ করেছে। আকাশসীমায় প্রবেশ করা এই যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ১৮টি পারমাণবিক সক্ষম 'এইচ-৬' বোমারু বিমান ছিল।

'এইচ-৬' বোমারু বিমান

এএফপি রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে এমন একটি ডাটাবেস অনুসারে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তাইপেই প্রথম দৈনিক অনুপ্রবেশের ডেটা রাখা শুরু করে। এরপর থেকে এটি 'এইচ-৬' বোমারু বিমানের বৃহত্তম দৈনিক অনুপ্রবেশ।

গত সপ্তাহে চীন তাইওয়ানের খাদ্য, পানীয়, অ্যালকোহল ও সামুদ্রিক পণ্যের উপর নতুন আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চ্যাং বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধি লঙ্ঘন ও দ্বীপের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন। 

তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চ্যাং।

'এইচ-৬' চীনের প্রধান দূরপাল্লার বোমারু বিমান এবং এটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম। চীনের পক্ষে একদিনে পাঁচটির বেশি 'এইচ-৬' বোমারু বিমান পাঠানো বিরল। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

ইত্তেফাক/ডিএস