মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিষাক্ত বড়ি খেয়ে সাবেক নারী ইউপি সদস্য রোজিনা বেগম (৪০) আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের ছোট পয়লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বেলা ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রোজিনা দুই সন্তানের জননী ও ওই গ্রামের মৃত ময়নাল হকের স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোজিনা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে সে কীটনাশক বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঘিওর হাসপাতালে এবং পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রাত তিনটার দিকে মারা যান।
নিহতের শ্বাশুড়ি নাসিমা বেগম জানান, স্বামীহারা রোজিনা বেগম দুই সন্তান নিয়ে অনেক আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলেন। বিভিন্ন এনজিওর টাকার চাপে রোজিনা সব সময় মন-মরা হয়ে থাকতো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রামবাসী বলেন, সিধুনগর গ্রামের জামাল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আট লাখ টাকা দামে ট্রাক কিনেন। কিন্তু অর্ধেক টাকা বাকি ছিলো। কিছুদিন পর সিধুনগরের মুন্নাফ খন্দকারের ছেলে মুস্তাক গাড়ির দলিল দেখিয়ে দাবি করেন, এ ট্রাক তিনিও জামালের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পয়লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনু অর রশিদ একটা রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু মুস্তাক খন্দকার সে রায় না মেনে কৌশলে রোজিনার কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে নেয় এবং এলাকা থেকে গাড়ি সরিয়ে ফেলে। এসব নানাবিধ কারণে রোজিনা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এছাড়াও নানা কারণে বিষক্ত বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
ঘিওর থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘিওর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারন উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।