নীলফামারীতে হঠাৎ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ মানুষ সেবা নেয় হাসপাতালগুলোর ইমারজেন্সিসহ অন্যান্য বিভাগে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। শীতের তীব্রতা বাড়ায় ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ মানুষ হাসপাতালগুলোর ইমারজেন্সিসহ অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শীতজনিত কারণে জেলায় গড়ে ২০-৩০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশায় বেড়েছে চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। ডিমলা চাপানী তিস্তাপাড়ের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে এই এলাকায় শীত বাড়ছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকে। কাজে বের হতে পারি না। জলঢাকা এলাকার রিকশাচালক উসমান গনি বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে খাই। কিন্তু যে ঠাণ্ডা, কীভাবে চলা যায়! সকালে কুয়াশার জন্য মানুষ বের হয় না।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল করীম বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য প্রথম চাহিদায় আমরা ৩১ হাজার ৫০০ কম্বল পেয়েছি। তা উপজেলাগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার ৬৪ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো এলে ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যান্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে।