বিপত্নীক অনিল চন্দ্র রায় (৬৫)। তিন বছরে তাকে পাঁচটি সাজানো বিয়ে দিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। কথিত বিয়ের পর দিনই ‘নববধূরা’ বাড়ি থেকে কাপড়, সোনাদানা, টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিত। নববধূদের সঙ্গে হয়নি বৃদ্ধের ফুলশয্যাও।
প্রতারক চক্রটি পাতানো বিয়ে দিয়ে আবার বিচ্ছেদও ঘটাত। এভাবে বৃদ্ধের ১৪-১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের কোর্টপাড়া এলাকায়। অনিল চন্দ্র রায় ঐ এলাকর মৃত কাল্টু বর্মনের ছেলে।
গতকাল শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে প্রতারণার শিকার বৃদ্ধ ও তার তিন ছেলে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় পড়শিরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে অনিল চন্দ্র রায় বলেন, পাঁচ বছর আগে আমার স্ত্রী মারা যায়। স্ত্রীর মৃত্যুতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। এতে এলাকার প্রতারক চক্রের সদস্য বাবুল (হাঁস বাবুল), সবুজ, আ. লতিফ, কালিপদ, রমজান আলী জ্বিন, হব্বু আমাকে বিভিন্ন প্রলোভনে খানসামা, গড়েয়া, মাড়েয়া, মিরগঞ্জ এলাকার মহিলাদের সঙ্গে একে একে পাঁচটি বিয়ে দিয়েছে। আমি ঐসব মহিলার বাড়িঘর দেখিনি, এমনকি তাদের কী নামধাম তাও জানি না। তারা হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আমাকে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের দেখিয়ে কাগজে সই করে বিয়ে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। বিয়ের পর নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসলে শুধুমাত্র রাতে থেকে পরের দিন সকালেই টাকা, কাপড় ও সোনাদানা নিয়ে প্রতারক চক্রদের সহযোগিতায় পালিয়ে যেত। ঐ নারীরা পালিয়ে যাওয়ার কয়েক দিন পর প্রতারক চক্রের সদস্য বাবুল, আ. লতিফ ফোন করে টাকা দাবি করে। আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। এখন তারা আবারও আমার কাছে ঐসব মহিলার সঙ্গে ডির্ভোসের কথা বলে টাকা দাবি করছে। টাকা না দিলে র্যাব, পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকিসহ কোর্টে মামলা দেওয়ারও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এলাকার একটি প্রতারক চক্র নানাভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। অনিল চন্দ্র রায় খুব সহজ-সরল মানুষ।