লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রবাহমান মেঘনা নদীতে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হোসেন শ্রমিক দিয়ে ওই রাস্তা নির্মাণ করাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, মেঘনা নদীর পাশের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়ার জন্য রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে। ইটভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী মিয়ার হাট বাজারের রাহুলঘাটে পাশে মেঘনা নদীর পাড়ে দেখা যায়, ইউপি সদস্য আবুল হোসেন শ্রমিকদের দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যস্ত। নদীর দুপাশের মাটি কেটে ইট ভাটায় মাটি নেওয়ার জন্য এ কাঁচা রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে। মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলির মাধ্যমে ওই মাটি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ করে স্থানীয় কৃষকরা বলেন, মেঘনার পাশের কৃষিজমি থেকে মাটি বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে উর্বর মাটি নিতে এই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীতে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় আগামী বর্ষায় বসতঘরে পানি ঢোকাসহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে দুর্ভোগে পড়বে শত পরিবার। ডুবে যাবে ফসলি জমি। শুষ্ক মৌসুমে রাস্তা নির্মাণ করায় বাঁধের কারণে পানি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে না। ফলে সয়াবিন, মরিচ, তরমুজসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, অল্প কয়েকদিনের জন্য নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে রাস্তা করছি। মাটি নেওয়ার কাজ শেষ হলে আবার বাঁধটি কেটে দেওয়া হবে। নদীর ওপরে এই রাস্তায় কোন কৃষকের ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি শুনেছি। কোনো ব্যক্তি নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে পারে না। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।